শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রামের বাঁশখালী-পেকুয়া-কুতুবদিয়া এলাকার কুখ্যাত জলদস্যু কবীর বাহিনীর প্রধান নুরুল কবীরসহ ১৩ জনকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি বিদেশি পিস্তল, ছয়টি ওয়ানশুটার গান, চারটি কার্তুজ, পাঁচটি কিরিচ, একটি ছুরি, একটি রামদা, দুইটি হাসুয়া ও দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত আসামিরা হলো- নুরুল আফসার (৪৫), নুরুল কাদের (৪১), হাসান, মো. মামুন (৪০), মো. নুরুল কবির (২৯), মো. আব্দুল হামিদ প্রকাশ কালা মিয়া (৩০), আবু বক্কর (৩১), মো. ইউসুফ (৪৬), গিয়াস উদ্দিন (৩৭), মো. সফিউল আলম প্রকাশ মানিক (৩৬), মো. আব্দুল খালেক (৪৪), মো. রুবেল উদ্দিন (২৭), মো. সাইফুল ইসলাম জিকু (২৮), মো. সুলতান (৩৬), মো. মনজুর আলম।
জব্দকৃত অস্ত্র (ছবি : সংগৃহীত)
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার। তিনি জানান, গত ১৪ জানুয়ারি ১৭ জেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের তথ্য পায় র্যাব। মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা দাবির মধ্যে ২ লাখ টাকা পরিশোধ করে জেলেদের পরিবার। এ ঘটনায় অপহৃত পরিবারের পক্ষ থেকে র্যাব-৭ এর কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। র্যাব-৭ ও র্যাব-৮ অভিযান পরিচালনা করেন। জলদস্যুরা র্যাবের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে জেলেদের ছেড়ে দেয়। তারা মূলত কুখ্যাত জলদস্যু কবীর বাহিনীর প্রধানের কথা বলে মুক্তিপণ দাবি করে।
গত ১৪ জানুয়ারি জলদস্যুরা কবীরের নেতৃত্বে একটি নৌকা ভাড়া করে। যার মধ্যে পেকুয়ার মগনামাঘাট থেকে ৭ জন এবং কুতুবদিয়া থেকে আরও ৮ জন জলদস্যু নৌকাটিতে উঠে। তারা পুনরায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এই সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭ অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) নুরুল আফসার, নুরুল কাদের, হাসান, মো. মামুনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যমতে অন্য জলদস্যুদের চকরিয়া থানার ডান্ডিবাজার এলাকার কবীরের আস্তানা থেকে আটক করা হয়েছে।
ওডি/এমএ
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড