• বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ২০ আশ্বিন ১৪৩০  |   ২৬ °সে
  • বেটা ভার্সন

সর্বশেষ :

sonargao

জৈন্তাপুরে মিষ্টু মিয়ার কুলের বাগান

  শাহ আলম, গোয়াইনঘাট (সিলেট)

২০ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:৪৬
মিষ্টু মিয়া
বাগানের যত্ন নিচ্ছেন মিষ্টু মিয়া (ছবি : অধিকার)

উঁচু ও ঢালু পাহাড় নিয়ে অবস্থিত সিলেটের বৃহত্তর জৈন্তা হিলস সীমান্ত। আর সেই আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে ঘুমানো ওই পাহাড়ই কিন্তু পর্যটকসহ সবার মন কাড়ে। নিজ থেকেই সে বিছিয়েছে সবুজ-শ্যামল বিস্তর প্রান্তর, সাজিয়েছে আপন হাতে। নিজ হাতে বিছানো সে আদিগন্ত প্রান্তরে কেবল প্রকৃতির সন্তানেরা জীবনধারণ করে না, দু’চোখ ভরে নয়নও জুড়ায়। নিজে রূপসী বলেই সে জানে সুন্দরের কদর। পাহাড় আর ঝর্ণার নিচে জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামবাড়ি এলাকার দশ বিঘা জায়গা-জুড়ে চাষ করা হয়েছে কুলের বাগান। যা এখন পরিচিতি পাচ্ছে মিষ্টু মিয়ার কুলের বাগান হিসেবে।

নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের আব্দুল নগর গ্রামে জন্ম মিষ্টু মিয়ার। তিনি এগারো বছর বিদেশে ছিলেন। দেশে আসার পর পরিকল্পনা করেন একটি কুল বরইয়ের বাগান করার। সে অনুযায়ী জৈন্তাপুর উপজেলার মোকাম বাড়ি এলাকার জায়গাটি পছন্দ করেন। বাগান করার উদ্দেশ্যে দশ বিঘা জায়গা দশ বছরের জন্য লিজ নেন। বাউকুল, আপেলকুল, বলসুন্দরী তিন জাতের কুল বড়ই মিলিয়ে সে এক হাজার দুইশত গাছ রোপণ করেছেন। গাছের বয়স দশ মাস হলেও ফল ধরেছে আশাতীত। একই সাথে অপর পাশে তরমুজের বাগান করেছেন। তার বাগানটি দেখভাল করার জন্য আরও দুইজন লোক নিয়োগ দিয়েছেন। তারা বাগানে সঠিকভাবে পরিচর্যা করছেন।

কৃষক মো. মিষ্টু মিয়া বলেন, আমি অনেক বছর বিদেশ করেছি। দেশে আসার পর আমার স্বপ্ন হলো- কিছু একটা করব। সেই সুবাদে বাগানটি করেছি। আমার নিজস্ব মূলধন থেকে বাগানটি করা হয়েছে। কোনো এনজিও থেকে লোন করিনি। ১২ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি এই বাগানে।

তিনি আরও বলেন, আমি আগে আমার নিজ বাড়িতে পেয়ারা বাগান করেছি। কৃষি বিষয়ে অবগত আছি। তাই নিজের চেষ্টায় এতটুকু করতে পেরেছি। তবে উপজেলার কৃষি অফিস থেকে সহায়তা পেলে বাগানটি বড় করার ইচ্ছে আছে।

আরও পড়ুন : প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা হাজারো দিনমজুরের

বাগানটির জায়গার মালিক ওমর ফারুক জানান, আসলে বাগানে না আসলে বিশ্বাসই হতো না এতো সুন্দর একটা বাগান তৈরি করেছেন মিষ্টু মিয়া। ওনি যখন ১০ মাস আগেও পরিকল্পনা করেন তখন আমি নিজেও আতঙ্কে ছিলাম। এখানে ভালো হবে কি-না। ওনার পরিশ্রমের ফসল হিসেবে এতো সুন্দর একটি বাগান হওয়ায় আমি নিজেও অভিভূত। আমাদের এলাকায় যারা অন্যান্য কৃষক আছে আমি তাদেরকে বলবো- আপনারা আসেন, বাগানটি দেখেন। আমার মনে হয়, এ রকম অনেক জায়গা পতিত আছে। যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে কৃষি সম্ভাবনা গড়ে উঠবে। তাই এ রকম বাগান তৈরিতে স্থানীয় অনেক তরুণ অনুপ্রাণিত হবেন।

ওডি/এএম

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড