জামিনে এসে হত্যা মামলার আসামি খুন

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জোড়া খুনের বদলা নিতে মামলার আসামি আমিরুল ইসলাম (৫৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের মৃত সাজ্জাদ হোসেনের বিদেশ ফেরত ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার, সমাজপতিদের দলাদলি ও উসকানিতে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নেহেদ আলী (৬৫) ও বকুল আলী (৫৫) নামের আপন দুইভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পরদিন নিহত নেহেদ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৮ জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় একটি হত্যামামলা করেন। সেই মামলার ৮ নম্বর আসামি ছিলেন আমিরুল ইসলাম।

ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বের জের ধরেই হত্যার বদলা নিতে বাদীপক্ষের লোকজন বিকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে আক্রমণ চালায়। এ সময় তার পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপানো হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্বজনরা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মেয়ে সুমনা বলেন, জোড়া খুনের বদলা নিতে বাবাকে খুন করা হয়েছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

নিহতের চাচাতো ভাই আলম মন্ডল বলেন, বিকালে জোড়া খুন মামলার বাদীপক্ষের আরিফ, আনিস, রানা, জহির, মুসা, মিলন ও কটা মেম্বরের ভাইসহ বেশকিছু লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে আক্রমণ করে এবং ভাইকে ঘিরে ফেলে চারদিক থেকে। এরপর তার পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় মেম্বর ফিরোজ আহমেদ কটা বলেন, আগের খুন মামলার বাদীপক্ষ এ কাজ করেছে। আমার ভাইয়েরা কেউ জড়িত নয়।

এ বিষয়ে জানতে জোড়া খুন মামলার বাদী নুরুল ইসলামকে মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন : দুই স্কুল পাশাপাশি, শিক্ষার্থী নিয়ে টানাটানি

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নিহত ব্যক্তি জোড়া খুন মামলার আসামি ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বদলা নিতেই বাদীপক্ষ আক্রমণ করেছে। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ওডি/এএম