• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বেগম রোকেয়া দিবস আজ

  মাহফুজ আলম প্রিন্স, রংপুর

০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪:২৫
বেগম রোকেয়া দিবস আজ
স্মৃতি কেন্দ্র । ছবি : অধিকার

সমাজ পরিবর্তনের উজ্জ্বল পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া দিবস আজ। উনবিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। তার জন্ম রংপুরের পায়রাকবন্দর গ্রামে।

বেগম রোকেয়ার পিতা জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের ছিলেন দিনাজপুর জেলার সব চাইতে প্রভাবশালী ব্যক্তি। আর তার মাতা রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী। রোকেয়ারা ছিলেন তিন বোন ও তিন ভাই। তিন বোনেদের মাঝে রোকেয়া ছিলেন মেঝো।

সে সময় বাড়ির মেয়েরা পর পুরুষ তো দূরে থাক, অন্য কোনো মানুষদের সামনেও নিজেদের চেহারা দেখাতে পারতো না। এমনকি তাদের কণ্ঠস্বর যাতে কেউ না শুনতে পায়, তাই তাদেরকে বাড়ির ভিতরেই লুকিয়ে রাখা হতো। বেগম রোকেয়ার বাড়িতে ও শুরু থেকেই এই প্রথার চর্চা চলে আসতো। কিন্তু চুপি চুপি বিছানা ছেড়ে রোকেয়া মোমবাতির আলোকে ইংরেজি ও বাংলায় পাঠ গ্রহণ করতেন। আর এ জন্য তাঁকে হতে হয়েছে নানান শত বঞ্চনা।

এ প্রথা থেকে মুসলিম নারী জাতিকে উদ্ধারের জন্য লেখা শুরু করেন তিনি। ১৯০২ সালে পিপাসা নামক একটি গল্প লিখে বাংলা সাহিত্য জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেন বেগম রোকেয়া । কেমন আছে সেই রোকেয়ার জন্মস্থান পায়রাবন্দে। কেমন আছে তার স্মৃতি কেন্দ্রের সেই আঁতুড় ঘড়?

সরজমিনে দেখা যায়, রংপুরের মিঠাপুকুর যেতেই চোখে পড়ে সেই রোকেয়ার স্মৃতি বিজড়িত জন্মস্থান পায়রাবন্দ। গ্রামের মেঠোপথ ধরেই এগুলো চোখে পড়ে সারি সারি গাছ আর ফসলের ক্ষেত। স্মৃতি কেন্দ্রে গেলেই চোখে পড়বে দৃশ্যমান রোকেয়ার দাঁড়িয়ে থাকা স্তম্ভ। যেনো মনে করিয়ে দিচ্ছে নারীরা এগিয়ে গেছে তারই হাত ধরে দূর বহুদূর। কেন্দ্রে রয়েছে আগত পাঠকের বিশ্রামাগার থেকে শুরু করে রোকেয়া কে নিয়ে চর্চা করার লাইব্রেরী। লাইব্রেরীতে রয়েছে সারি সারি নারী জাগরণের সেই তথাকথিত সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লেখা নারী জাগরণের হাতিয়ার।

তবে সেখানে স্কুল কলেজ ছাড়াও রোকেয়াকে নিয়ে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হলেও আজোও অবহেলায় পড়ে আছে তার স্মৃতি বিজড়িত সেই আঁতুড় ঘড়ের স্তম্ভ গুলো।

এ বিষয়ে পায়রাবন্দ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন ক্ষোভের সাথে জানান, বছরে শুধু একবার স্মরণ করে বেগম রোকেয়াকে। ঘটা করে পালন করে তাঁর দিবস। দিবসকে ঘেরে চলে আলোচনা সভা সমাবেশ।

ঘুরতে আসা কারমাইকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী জানান, স্মৃতি কেন্দ্রে শুধু সঙ্গীত শেখার আসর,অংকন ও পাঠাগার ছাড়া আর কোনো কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। তবে রোকেয়াকে জানতে হলে দরকার রোকেয়া যাদুঘর। প্রতিবেশী দেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে তাঁর কবর।

আরও পড়ুন : কাপ্তাই বিএসপিআই এ কারিগরি প্রতিভা মেলা উদ্বোধন

নতুন প্রজন্মের জন্য তৈরি করতে হবে তার সমাধিস্থল। তবে পর্যায়ক্রমে বেগম রোকেয়ার স্মৃতি ধরে রাখতে যা যা প্রয়োজন বাংলা অ্যাকাডেমি এবং সরকার তা করে যাচ্ছে বলে জানালেন বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের কর্মকর্তা আব্দুল­শাহ আল ফারুখ।

ওডি/এসএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড