মো. সোহেল রানা দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি)
ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপের শীত মৌসুমে হঠাৎ প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে শীতকালীন শাক সবজি , আমন ধান ও বোরো ধানের বীজতলা ব্যাপক ক্ষতি আশস্কা করছে চাষিরা। খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মাইনী নদীর দুই তীরে প্রচুর পরিমাণ শীতকালীন শাক সবজি চাষ করা হয়। ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার অকর্তনকৃত আমনধান, শীতকালীন শাক সবজি ও বোরো ধানের বীজতলায় জমিতে পানি জমে যাওয়ার ফলে রোপনকৃত চারা নষ্ট হয়ে গেছে।
দীঘিনালা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, উপজেলায় অকর্তনকৃত ৩০ হেক্টর পাকা ধান হেলে পড়ে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। শীতকালীন শাক সবজি ক্ষতি হয়েছে ৯৮ হেক্টর ও বোরোধানের বীজতলা ৩ হেক্টর পানিতে ঢুবে নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, শীতকালে হঠাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উপজেলার চাষিদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জওয়াদে ফলে নিচু জমিতে পানি জমে উপজেলা আমন ধান, বোরোধানের বীজতলা ও শীতকালীন শাক সবজিসহ প্রায় ১ শত ৩১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কবাখালী এলাকার ধানচাষি কৃষক মো. হারুন মিয়া বলেন, আমার ২ একর জমিতে আমন ধান চাষ করছিলাম সব ধান একসাথে না পাকা কারণে কাটতে পারি নাই, চারভাগের তিন ভাগ ধান কাটতে পেরেছি। জওয়াদের কারণে বেশি বৃষ্টি হওয়া ৮০ শতক জমির পাঁকা ধান পানিতে ঢুবে গেছে।
আরও পড়ুন : নরসিংদীতে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে প্রস্তুত স্বাস্থ্য বিভাগ
মেরুং ইউনিয়নের সবজি চাষি মো. কামাল হোসেন বলেন, আমি বিভিন্ন প্রকার শাক সবজি চাষ করি, ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের কারণে অতি বৃষ্টি হওয়া শাক সবজি অনেক ক্ষতি হয়েছে। নতুন করে আবার চারা লাগাতে হবে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড