• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে নেই ওমিক্রন সর্তকতা

  এম মোবারক হোসাইন, পঞ্চগড়

০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫:৩৩
পঞ্চগড়
বাংলাবান্ধা (ছবি : অধিকার)

প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ (ভেরিয়েন্ট) ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় দেশের একমাত্র পঞ্চগড়ের চতুর্দশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভিনদেশী চালক, স্থানীয় শ্রমিক, কর্মচারী ও বন্দর সংশ্লিষ্টদের মাঝে নেই কোন সর্তকতা। দেশের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দরে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন ভাইরাস নিয়ে কর্তৃপক্ষের নেই তেমন কোন নজর দারি। এতে করে বন্দরটি রয়েছে বেশ ঝুঁকিতে। তবে এ পোর্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় স্বাস্থ্য বিধিকে উড়িয়ে দিয়েই চলছে আমদানি রফতানি কার্যক্রম। এতে করে করোনার এই নতুন ভেরিয়েন্টের কারণে চরম হুমকির মুখে পড়তে পারে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। চার দেশের পণ্য আনা নেয়ায় (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটান) পণ্যবাহী ট্রাকের চালক হেলপারদের মাস্ক ছাড়া অবাধে চলাচল করতে দেখা গেছে।

গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দরে তেমন নজর দারি না থাকায় আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা। যে কোনো সময় করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে এ বন্দর দিয়ে, এমনটি আশংকা করছে স্থানীয়রা। গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর দিয়ে ভিন দেশীরা আসায় মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি তেমন ভাবে না মানায় যে কোন সময় আক্রান্ত হওয়ার শংকা রয়েছে।

তবে ইতিপূর্বে করোনাকালীন সময়ে শর্ত সাপেক্ষে কঠোর স্বাস্থ্য বিধির এসোপির মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রম শুরু হলেও এখন তা ভেস্তে গেছে। বন্দরে কারো মাঝে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ (ভেরিয়েন্ট) ওমিক্রনের ভয় নেই বললেই চলে। তাই বন্দরে করোনা নিয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপও নেই।

অন্যদিকে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপাল চালকরা মাস্ক ছাড়া অবাদে ঘোরা ফেরা করলেও নিজেরা সরাসরি ফাইল নিয়ে ছুটছেন বিভিন্ন দফতরে। দিনভর চারদেশের চালকরা কোনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মাস্ক ছাড়া ঘন্টার পর ঘন্টা জটলা বেধে থাকছেন বন্দর অফিসের সামনে। তবে বন্দরের শর্তে ভিনদেশী চালকরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে নির্দিষ্ট স্থানে থাকার কথা থাকলেও তেমন কোনো নিয়ম কানুন চোখে পরেনি।

এবিষয়ে কথা হয় ভারত থেকে পন্য নিয়ে আসা বিদেশী চালক গোবিন্দ রায়ের সাথে। তিনি বলেন, আমরা যখন ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করি এবং বাংলাদেশ থেকে পণ্য খালাস করে ভারতে প্রবেশ করি তখন আমাদের দেশে আমাদের তাপমাত্রা রেকর্ড করে, গাড়ি স্প্রে করাসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করলেও বাংলাদেশে এসে কিছুই দেখিনি। কোন স্প্রে, তাপমাত্রা নির্ণয় এমন কি কেউ মাস্কও পড়তে দেখছি না। খুব আতংকে থাকতে হচ্ছে বাংলাবান্ধায় এসে।

একই কথা বলেন ঢাকা নারায়ণগঞ্জ থেকে পন্য নিয়ে আসা বাংলাদেশী চালক কুদরতউল্লাহ। তিনি বলেন,বন্দরে এসে ভারত,ভূটান ও নেপালের চালকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় ও মাস্ক না পরে যে যার মতো করে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। কতৃপক্ষের তেমম কোন নজরদারি দেখছি না। আমরা দেশীয় চালকরা খুবই আতংকে আছি ভারতের নতুন ভেরিয়েন্টের ভয়ে । এখনি ব্যবস্থা না নিলে আমরাও ঝুঁকির মধ্যে পড়ব।

বাংলাবান্ধা আমদানী রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত- ই খুদা মিলন বলেন, আমাদের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর করোনা মহামারীতেও খোলা ছিল। তবে বন্দর কতৃপক্ষ, ব্যবসায়ী সবার প্রচেষ্টায় আমরা স্বাস্থ্য মেনে চলায় কেউই করোনায় আক্রান্ত হয়নি। যেহেতু ভারতে নতুন করোনার ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ বেড়েছে তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরে আমরা ব্যবসা পরিচালন করার চেষ্টা করছি। তবে বন্দর কতৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করছি আমরা ব্যববসায়ীরা।

আরও পড়ুন : পলাশে ভিটামিন-এ প্লাস খাবে ২৮ হাজার শিশু

বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের পোর্ট ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর একটি চর্তুদেশীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। মহামারী করোনা ভাইরাসের সময় যেভাবে সর্তক অবস্থানে থেকে আমদানী রফতানি কার্যক্রম চলছে ঠিক এখনও সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি রফতানির কার্যক্রম চলছে। সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে তার জন্য প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

ওডি/এফই

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড