হামিদ রনি, নোয়াখালী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মো. হানিফের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নোয়াখালী জেলা স্কুল প্রাঙ্গনে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। দাফনের আগ মুহুর্তে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর তাকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, বেগমগঞ্জ সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএলএফ এর প্রধান মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আলম সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ও যুগ্ম আহবায়ক এবং নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শামছুদ্দীন জেহানসহ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সাবেক স্পিকার মরহুম আবদুল মালেক উকিলের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
এর আগে প্রবীণ এ নেতা শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অধ্যাপক মো. হানিফ নোয়াখালী সদর উপজেলার মাইজদী বাজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল প্রায় ৮২ বছর। তিনি ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
অধ্যাপক মো. হানিফ দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার মৃত্যুতে আত্মীয় স্বজনসহ রাজনৈতিক মহলের সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এক শোকবার্তায় তারা প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড