শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী উপকূলে ভাসমান অবস্থা থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির মেছো বিড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের বাসিন্দা মুহাম্মদ হেলাল নামে এক জেলে বিড়ালটি উদ্ধার করেন।
উদ্ধারকারী জেলে হেলাল বলেন, প্রতিদিনের মতো শনিবারও সাগর উপকূলে রুইজাল বসাতে গিয়েছি। সকালে জাল বসাতে গিয়ে সাগরে ভাসমান অবস্থায় মেছো বিড়ালটিকে কাতরাতে দেখি। পরে বিড়ালটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। বিড়ালটি ঠাণ্ডায় বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। বর্তমানে আমি বিড়ালটিকে পরিচর্যা করছি এবং আমার হেফাজতে রেখেছি।
অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বাঁশখালী ইকোপার্কেও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, 'গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিমে সাগর উপকূলে ভাসমান অবস্থা থেকে স্থানীয় এক জেলে বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির মেছো বিড়াল উদ্ধার করার খবর পেয়েছি। আগামীকাল সকালে মেছো বিড়ালটি উদ্ধার করতে আমাদের একটি টিম যাবে। পরে ওই প্রাণীটিকে মুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন গন্ডামারা উপকূলে তেমন ঝোপঝাড় নেই। মেছো বিড়াল সাধারণত উপকূলের চরালের ঝোপঝাড়ে থাকে। বিশেষ করে বাহারছড়া এলাকায় এসব মেছো বিড়াল দেখা যায়। কিভাবে প্রাণীটি সাগরে ভেসে এলো তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
মেছো বিড়াল সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেক এলাকায় প্রাণীটিকে মেছো বাঘ নামেও ডাকে। প্রাণীটি মানুষকে আক্রমণ করে না, বরং মানুষ দেখলে পালিয়ে যায়। তাই এটি নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই এই প্রাণীটি বিচরণ রয়েছে। জলাভূমি আছে এমন এলাকায় বেশি দেখা যায়। প্রাণীটি জলাভূমির মাছ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ছাড়াও পোকামাকড় ও ইঁদুর খেয়ে কৃষকের উপকার করে। জনবসতি স্থাপন, বন ও জলাভূমি ধ্বংস, পিটিয়ে হত্যা ইত্যাদি কারণে বিগত কয়েক দশকে এই প্রাণীটির সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড