তরিকুল ইসলাম তরুন, কুষ্টিয়া
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের (৩৮) মৃত্যুতে তার গ্রামের বাড়ি বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে অধ্যাপকের এসএসসির ব্যাচের সহপাঠী ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণ বাঁশগ্রাম বাজারে এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
মানববন্ধনে ড. সেলিম হোসেনের বন্ধু ও ইউনাইটেড বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুপকুমার বলেন, সেলিম ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিল। তার এই অকাল মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাকে মানুষিকভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। যারা তার মৃত্যুর জন্য দায়ী তাদের বিচারের দাবিতে এই মানববন্ধন।
বাঁশগ্রাম ইউনাইটেড বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, সেলিম এই স্কুলে লেখাপড়া করেছে। তিনি অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। তার অকাল মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যারা তার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের বিচার দাবি করছি।
মানববন্ধনে ড. সেলিমের বাবা শুকুর আলী বলেন, সেলিম ২০১০ সালে কুয়েটে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ছেলেকে লেখাপড়া করানোর জন্য নিজের সর্বস্ব বিক্রি করে দেন। বর্তমানে ছেলের পাঠানো টাকায় তার সংসার চলত। ২০১১ সালে তিনি স্ত্রীকে হারিয়েছেন। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ।
তিনি আরও বলেন তার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। তার ছেলের ৬ বছর তিন মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তার কি হবে? তিনি তার ছেলের মৃত্যুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দোষীদের বিচারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন : বকশীগঞ্জে জাতীয় পার্টির সংবর্ধনা
উল্লেখ্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সেলিম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়টির লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বেও ছিলেন। ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরে মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে তিনি মারা যান। বুধবার সকাল ১০টায় গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে তাকে দাফন করা হয়।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড