সাইদুর রহমান, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়িঘরে হামলা, গুলিবর্ষণ, আগুন দেওয়ার ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজানসহ ২১ জনের নামে আরও অজ্ঞাত ২শ জনের নামে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাতে ক্ষতিগ্রস্ত সালেহা ভূঁইয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী সালেহা ভূঁইয়া জানান, আসামীরা গত ১১ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন করেন।
এ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জায়েদ আলীর পক্ষে কাজ করেন তার ভাই মোশাররফ। অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জায়েজ আলীর কাছে পরাজিত হন। এরপর থেকেই তার ভাই ও পরিবারের লোকজনকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল।
এরই জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে জসিম উদ্দিন জসু, মিজানের বড় ভাই শফিক, আলেক, অলেক, মোমেন, আজিজ, সাইফুল, মন্জুর, শফিকুল, জাইদুল, মাতিন, রুবেল ওরফে রিফুজি রুবেল, নয়ন, নাফিত দুলাল, সোহেল, রাসেল, আলমাছ আলী, আলাদিন, নিজা, এমদাদুল, রুবেলসহ অজ্ঞাত ২শ জনের একটি সন্ত্রাসীদল পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের বাড়ি ঘেরাও করে গুলিবর্ষণ করে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা তাদেরও বসতবিটায় পেট্রোল দিয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটায়।
এ সময় সন্ত্রাসীরা তার ভাই মোশাররফকে কুপাতে থাকে। বাধা দিতে আসলে ভাতিজা ইউসুফ ও রেনুকে গুলি করে আহত করে। এসময় সন্ত্রাসীরা সোবহান, জেসমিন, জায়েদা বেগমসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ইউসুফ ও রেনুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, হামলা ও আগুনের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জসিম উদ্দিন জসু নামের এজাহারভূক্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড