• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রূপগঞ্জে নির্বাচনি সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ ২

  সাইুর রহমান, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:০৭
নারায়ণগঞ্জ
গুলিবিদ্ধ লিপি আক্তার (ছবি : অধিকার)

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় নাওড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই নেতার বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ২-৩শ সদস্যের একদল সন্ত্রাসী রাম দা, ছুরি, বল্লম, চাইনিজ কুড়াল, শর্টগান, আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এ হামলা চালায়। এ সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়।

গুলিতে আহত নাওড়া গ্রামের মৃত ফজুল মিয়ার ছেলে ইউসুফ মিয়া (৪০) ও ওমেদ আলীর ছেলে রেনু মিয়াকে (৩৫) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত সুবহান (২৮), জায়েদা খাতুন (৩০), নুরজাহানকে (৩২), মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যান্যদের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলাকারীরা কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি জোসনা আক্তারের বাড়িতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালায়। মহিলা ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেনের ৫টি বসতঘর, ৪টি মোটরসাইকেল, ১টি প্রাইভেটকার ও কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের কার্যালয় পুড়ে গেছে।

কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মিনারা বেগম বলেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে পরাজিত হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান। তার সমর্থক জসিম উদ্দিন জসু ও আলেক মিয়ার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। মিজানুর রহমানের বড় ভাই রফিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা একের পর এক হামলা চালাচ্ছে।

কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আমির হামজা বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান পরাজিত হওয়ায় তার সমর্থিত সন্ত্রাসীরা একের পর এক নৌকা প্রতীকের সমর্থিতদের ঘর বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। নেতাকর্মীদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করছে। পুলিশ ও র‌্যাব নিরব ভূমিকা পালন করছে।

কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. জাহেদ আলী বলেন, নির্বাচনের পরদিন থেকে নাওড়া এলাকার নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের বাড়িতে একের পর এক হামলা, লুটপাট চালানো হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ ও র‌্যাব সন্তোষজনক ভূমিকা রাখছে না। ক্ষতিগ্রস্তদের মামলা রুজু করছে না। তাতে সন্ত্রাসীরা উৎসাহিত হয়ে একের পর এক হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে যাচ্ছে। ২৭ নভেম্বর ৮ জন গুলিবিদ্ধের ঘটনায়ও পুলিশ এখনও মামলা নেয়নি।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

উল্লেখ্য, ১১ নভেম্বর কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মো. জাহেদ আলী নৌকা প্রতীকে ৫৫৮ ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমানের পরাজয় হয়। ১২ নভেম্বর নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেত্রী লিপি আক্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে এখনও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখানে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি ও অসহায় হয়ে পড়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

ওডি/এমএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড