তরিকুল ইসলাম তরুন, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নে শখ করে ফিলিপাইন ব্ল্যাক আখ চাষ করে অর্থনৈতিক সফলতা অর্জন করেছেন আবু শাহিন খাঁ (৩৫)। তিনি খাঁ পাড়ার নজিম উদ্দিনের ছেলে।
আখ চাষি শাহিন জানান, শখ করে আমি মাত্র ১০ কাঠা জমি নিয়ে এই আখ চাষ শুরু করি। এই বছর ৬ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। প্রায় প্রতি বিঘা ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমার ৬ বিঘা জমিতে প্রায় ৭২ হাজার পিস আখ আছে। বর্তমানে ৪০ টাকা পিস আখ বিক্রি করেছি। গড়ে ৫০ টাকা পিস বিক্রি করলেও সাড়ে ৪ লাখ টাকা আমার আয় হবে প্রতি বিঘায়। এই আখ চাষের জন্য বেশি খরচ হয়ে থাকে। আখ নরম হওয়ার কারণে শিয়ালের হাত থেকে রক্ষা পেতে খেতের চারপাশে নেট দিয়ে বেড়া দিতে হয়। আখ বড় হলে বাঁশের খুটির সঙ্গে বেঁধে দিতে হয়। কারণ এই আখের উচ্চতা অনেক বেশি।
আখচাষী সাইদুল খাঁ বলেন, গতবছর থেকে আমিও দুইবিঘা জমিতে আখ চাষ করছি। প্রতিটি আখ ১০ থেকে ১২ ফুট লম্বা হয়। আর ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় পাইকারী বিক্রি হয়। খুচরা বিক্রেতা জমিতে এসে আখ নিয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাজারে যে আখ পাওয়া যায় অনেক সময় সেগুলো শক্ত, মিষ্টি ও রস কম হয়ে থাকে, কিন্তু ফিলিপাইন ব্ল্যাক আখ সেই দিক দিয়ে বেশ ভালো। বাণিজ্যিকভাবে ফিলিপাইন ব্ল্যাক আখ চাষ করে অল্প সময়ে অধিক মুনাফ অর্জন করা সম্ভব। এ আখ অনেক নরম, হাতের নখ দিয়েও চামড়া ছাড়ানো যায়। অন্য যেকোনো আখ থেকে এই আখের মিষ্টতা অনেক বেশি। এই আখের বাজার মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হন।
আরও পড়ুন : লালমনিরহাটে নির্বাচনি ফলাফল নিয়ে ভাংচুরে আহত ২০
উপজেলা কমকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস জানান, উপজেলায় সৌখিনভাবে ফিলিপাইন জাতের আখ চাষ শুরু হলেও বেশ কিছু কৃষক আখ চাষে সফলতা পেয়েছেন। যে কোনো ফসলের বীজ ভালো হলে ফলনও ভালো আশা করা যায়। তাই আমরা ভালো বীজ সংগ্রহ এবং আখ চাষে উৎসাহী করতে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড