আল-মামুন, খাগড়াছড়ি
ব্যালট পেপার ছিনতাই, কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে দীঘিনালার তিন ইউপির নির্বাচন। রবিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু চলে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। সকালে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে উপস্থিতি।
নির্বাচন চলাকালে মেরুং ইউপির রসিক নাগার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা চালায়। এ সময় বিজিবি,পুলিশ,র্যাবসহ দায়িত্বরত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এরপর বিকালে ওই ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদা বেগম লাখীর উপর হামলা চালিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। এতে তিনি গুরুত্বর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তালা প্রতীকের মেম্বার পদ প্রার্থীর নির্দেশে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন মাহমুদা বেগমের সমর্থকরা।
আহত আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহমুদা বেগম (ছবি : অধিকার)
অপর দিকে ৩৬নং বাঁচা মরং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘর্ষে চারজন পাহাড়ি ও ৮ বাঙালি আহত হয়। এ ঘটনার পর ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ছিনতাই হওয়া ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়।
বাঁচা মরং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আশা আলো চাকমা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নৌকার ও আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের পর ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং প্রশাসন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এছাড়াও কবাখালী, হাসিনসনপুর কেন্দ্র বিছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন শেষ হয়েছে।
এ সকল ঘটনায় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ব্যস্ত থাকায় ন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড