নিজস্ব প্রতিবেদক
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে স্বেচ্ছায় পাহারাদারদের বাঁশি প্রদান করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
সম্প্রতি কক্সবাজার-৮ এপিবিএনের অধীনে ১১টি এফডিএমএন ক্যাম্পে পাহারাদারদের বাঁশি প্রদান করেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান ও জামতলী পুলিশ ক্যাম্পের কমান্ডার মো. রবিউল ইসলাম।
চলতি বছরের ২২ অক্টোবর ১৮ নম্বর ক্যাম্পের জামেয়া দারুল উলুম নদুয়াতুল ওলামা আল ইসলামীয়া মাদ্রাসায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় শফিউল্লাহকাটা ও জামতলী ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীদের অত্যাচার থেকে সাধারণ এফডিএমএন সদস্যদের নিরাপত্তায় স্বেচ্ছা পাহারার ব্যবস্থা চালু করা হয়। এতে ক্যাম্পে সাধারণ রোহিঙ্গাদের আতঙ্কের অবসান হয়। এর আগে দুষ্কৃতিকারীরা এফডিএমএন সদস্যদের অপহরণ করে চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণ আদায় এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করত।
এদিকে ১১টি এফডিএমএন ক্যাম্পে ৭৭৩টি সাব-ব্লকে মোট ৩ লাখ ৬২ হাজার ২১৮ জন রোহিঙ্গা বসবাস করে। সে হিসেবে প্রতিটি ব্লকে গড়ে প্রায় ৪৬৮ জন বাস করেন। এর মধ্যে গড়ে ৮০ থেকে ১০০ জন পাহারা সক্ষম পুরুষ রয়েছেন। প্রতি রাতে তাদের মধ্য থেকে পালাক্রমে পাহারা দেন ৫ থেকে ১০ জন।
ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, ৮ এপিবিএনের আওতাধীন ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির রোহিঙ্গা সদস্যের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। তারা আমাদের প্রবর্তিত স্বেচ্ছা পাহারা ব্যবস্থার প্রতি সম্মান রেখে প্রতিদিন রাতে পাহারা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে আইনের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে: মন্ত্রী
দুষ্কৃতিকারীরা একের পর এক গ্রেফতার হচ্ছে, অনেকে গা ঢাকা দেয়। এই পাহারা ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজস্ব নিরাপত্তার জন্য এফডিএমএন সদস্যরা দায়িত্বশীল হয়ে উঠে। বিভিন্ন মহলেও এ ব্যবস্থা প্রশংসিত হচ্ছে। শৃঙ্খলা রক্ষায় স্বেচ্ছা পাহারাদাররা যেন আরও উৎসাহিত হয় সে জন্য তাদের প্রত্যেককে বাশিঁ প্রদান করা হয়েছে।
ওডি/আজীম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড