নেহাল আহম্মেদ প্রান্ত, আদমদীঘি (বগুড়া)
ধান ও চালের মূল্যের সমন্বয় না থাকায় চাতাল মিলের মালিকদের দুর্দিন চলছে। ইরি-বোরো ও রোপা-আমনের ভরা মৌসুমে ধান পেলেও চালের দাম দফায়-দফায় উঠা-নামার কারণে বন্ধ হওয়ার পথে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ড্রাম বয়লারের হাসকিং রাইস মিলগুলো। এতে কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে অভাব অনটনে মানবেতর জীবনযাপন করছে শত শত শ্রমিক।
আদমদীঘি উপজেলার খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এ উপজেলায় ১৪টি অটোমেটিক রাইস মিল এবং ১৭৪টি হাসকিং চাতাল মিল রয়েছে। তবে অটো রাইস মিলের কারণে বাজারে টিকতে না পাড়ার কারণে পুঁজি হারানোর আতঙ্কে রয়েছে ব্যবসায়ীরা। অনেকে এই ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করে নানান হতাশায় এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ধাপিত হচ্ছে।
উপজেলার চাতাল ব্যবসায়ী একরাম হোসেন মন্ডল জানান, বর্তমান মৌসুমে চলতি দরে বাজার থেকে ধান কিনে যে পরিমাণ চাল হয় তা বিক্রয় করলে লাভ হয় না। একিসাথে লোকসনের কারণে ব্যবসা চালু রাখা কঠিন হয়ে গেছে। যার কারণে হাসকিং মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের তৈরি চাল আর অটো রাইস মিলের চালের দাম প্রকার ভেদে প্রতি মণে একশত থেকে দেড়শত টাকা বেশি। অথচ বাজার থেকে ধান কেনার সময় প্রায় একই দামে কেনা হয়।
আরও পড়ুন : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হতে পারেন মেয়র আব্বাস
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কে. এম গোলাম রব্বানী জানান, অটো রাইস মিলের চালের মানের সঙে হাসকিং মিলের তৈরি চাল কিছুটা নিন্ম মানের হওয়ায় চলমান বাজারে টিকতে পারছে না।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড