• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম

  ওবায়দুল কবির সম্রাট, কয়রা (খুলনা)

২১ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৩০
খুলনা
পোস্ট অফিস (ছবি : অধিকার)

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে খুলনার কয়রা উপজেলার পোস্ট অফিসের সকল কার্যক্রম চলছে বহু বছরের পুরনো জীর্ণশীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে। সেবা নিতে আসা মানুষ ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের গায়ে খসে খসে পড়ছে পলেস্তারা। নেই কোন সীমানা প্রাচীর। একাধিকবার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভবন মেরামত ও সংস্কারের আবেদন করেও কোনো সাড়া মেলেনি জানিয়েছেন উপজেলার পোস্ট মাস্টার মাহবুবুল আলম।

প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, কয়রা উপজেলার পোস্ট অফিসের ভবন ১৯৮৫ সালে নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে ভবনটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে ভবনের ছাদ দিয়ে পানি ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি ভঙ্গুর আসবাবপত্র ও আসবাবপত্রের অভাবে কক্ষের ভেতরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি সংরক্ষণ কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব নথি ইঁদুর ও তেলাপোকায় দখলে রয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আওতাধীন উপজেলার ইউনিয়ন গ্রামীণ ১৭টি পোস্ট অফিসের দায়িত্বে থাকা ৫৫ জন ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টার দেখভাল করছেন। ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সম্মানি ভাতা দেওয়া হলেও গ্রামীণ পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টাদের কার্যক্রম পরিচালনায় এসকল অফিস গুলোতেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগোনি।

আরিফুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি জানান, ঢাকায় একটি চিঠি পাঠাবো। তাই উপজেলা পোস্ট অফিসে এসে দেখি ডাক বিভাগের কার্যক্রম অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ভবনের অবস্থাও ভঙ্গুর। সনাতন পদ্ধতিতে কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সেবা দিচ্ছেন। ডিজিটালের ছোঁয়া এখানে নেই বললে চলে। এতে অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পোস্ট মাস্টার বলেন, প্রতি সপ্তাহে সাধারণ ও রেজিস্ট্রার চারশ থেকে পাঁচশ চিঠি রিসিভ বা বিতরণ করতে হয়। ডাক বিভাগের সকল কার্যক্রম বাসা কিংবা দোকান থেকেই পরিচালনা করতে হয়। যদি প্রত্যেকটি গ্রামীণ পোস্ট অফিসের জন্য একটি করে ভবন নির্মাণ হয় তাহলে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সকল সেবা সহজে মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়া যাবে।

উপজেলা পোস্ট অফিসের আরও এক কর্মকর্তা জানান, উপজেলার ১৭টি গ্রামীণ পোস্ট অফিসসহ সকল কার্যক্রম উপজেলা পোস্ট অফিস থেকে পরিচালনা করা হয়। উপজেলা পোস্ট অফিসের মধ্যেমে প্রতিদিন সরকারের অনেক রাজস্ব আদায় হচ্ছে। ভবন ও আসবাবপত্রের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে গেছে।

কয়রা উপজেলা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার মাহবুবুল আলম বলেন, কয়রা পোস্ট অফিসের কার্যক্রম ডিজিটাইজ না হওয়ায় অনেক সময় সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। যে ভবনে কার্যক্রম চলছে সেটিও ধসে ধসে পড়ছে। অনেক পুরাতন হওয়ায় ভবনের অনেক অংশ ভেঙে গেছে। উপজেলা পোস্ট অফিসের নতুন ভবন ও সীমানা প্রাচীর অত্যন্ত জরুরী।

আরও পড়ুন : টাঙ্গাইলে স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামীর আত্মসমর্পন

খুলনা (দক্ষিণাঞ্চল) অতিরিক্ত পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. আবু তালেব বলেন, উপজেলা পোস্ট অফিসের ভবনের ব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অতিদ্রুত ভবন ও সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু করা হবে। সরকার পোস্ট অফিসের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন সেই অনুযায়ী আমরা উপজেলা ও গ্রামীণ পোস্ট অফিসের কার্যক্রম ডিজিটাল ও আধুনিকায়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে।

ওডি/এফই

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড