সাজ্জাদুল আলম, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর)
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধ যেন সহিংসতায় পরিণত না হয় যার কারণে আদালত জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। ইতিমধ্যে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় ১৪৪ ধারা বাস্তবায়নে একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেওয়ানগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে বর্তমান জনতা ব্যাংক এর কার্যালয় হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে ব্যাবসায়ী ইসমাইল হোসেন ক্রয় করেন। বিক্রির টাকা বুঝে নিয়ে ক্রেতা ইসমাইল হোসেনকে সম্মুখ ভাগ থেকে ১.৭৫ শতাংশ জমির মালিকানা বুঝিয়ে দেন। তখন থেকেই জমির লিগ্যাল মালিক ইসমাইল হোসেন।
কিছুদিন পার হওয়ার পর হাফিজুর রহমানে আবার তার বিক্রিত জমির মালিকানা দাবি করে। জমি ফিরত পেতে আদালতে মামলা করলে আদালত তা নাখোজ করে দেয়। আদালতের মাধ্যমে জমি ফিরত না পেয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে জমিতে অবস্থানরত ইসমাইল হোসেনকে হামলা করার জন্য পায়তারা শুরু করে।
তবে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে সেদিন হামলা থেকে রক্ষা পায় জমির মালিক ইসমাইল হোসেন। হামলা না করতে পেরে ফিরত যাওয়ার সময় তারা হুমকি দিয়ে যায়। সাথে বলে যায় আমার ছোট ভাই শেরপুর জেলার এডিশনাল এসপি, তোদের কেউ রক্ষা করতে পারবে না। যে কোন মূল্যে জমি আমাদের হবেই।
ভোক্তভূগী ব্যাবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে একতলা বিল্ডিংসহ জমি ক্রয় করি। টাকা বুঝে পেয়ে সে আমাকে জমির মালিকানা বুঝিয়ে দেয়। তখন থেকে আমি জমির বৈধ মালিক হিসাবে রয়েছি। কিন্তু বর্তমানে সে উল্টো এই জমির মালিক দাবি করছে। এর প্রেক্ষিতে সে জেলা জজ আদালতে আমার দলিলটি বাতিল চেয়ে আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত অবেদনটি বাতিল করে দেন। অবেদন বাতিল হওয়ার পর সে যখন বুঝতে পারলো জমি আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না। তাই আদালতের অবমাননা করে অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু সন্ত্রাসী দিয়ে জমি দখলের জন্য দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালাতে আসে। আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসলে হামলা না করেই পালিয়ে যায় তারা। আদালতে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করলে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন।
আরও পড়ুন : মঠবাড়িয়ায় পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিবকে অব্যাহতি প্রদান
প্রত্যক্ষদর্শী রহিমুজ্জামান রাজা জানান, হাফিজুর রহমান অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু লোক নিয়ে হামলার উদ্দেশ্যে আসলে আমাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়। তাদের দেখেই হামলাকারীরা চলে যায়। যাওয়ার সময় তারা বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যায়। আমরা কতিপয় কিছু মানুষ থাকার কারণে ইসমাইল হোসেন হামলা থেকে রক্ষা পায়।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড