• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শীতের সবজিতে বাজার সয়লাব, কমেনি দাম

  সাজ্জাদুল আলম শাওন, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর)

১৯ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৫৮
বাজারদর (ছবি : সংগৃহীত)

চারদিকে বিরাজ করছে শীতের আমেজ। প্রতিবছর শীতের প্রথম দিকে বাজারে আসতে থাকে কাঁচা শাক-সবজি। ক্রেতারা মুখিয়ে থাকে এই কাঁচা শাক-সবজির জন্য। কারণ, সবুজ সবজিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। দামও নাগালের মধ্যে থাকায় সব শ্রেণির ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ কাঁচা শাক-সবজি। প্রায় দুইমাস আগে বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের সবজি। কিন্তু এ বছর যেন দাম কমার কোনো নামই নেই। শীতকালীন এসব সবজির দাম না কমায় অন্য সবজিও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।

শীতের প্রথম দিকে বেশি দামে বিক্রি করা হলেও এখন ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও দাম খুব একটা কমেনি। প্রচুর সরবরাহ থাকলেও দাম না কমায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বিভিন্ন প্রকার সবজি উঠেছে। বিক্রেতারা সবজির পসরা নিয়ে বসে আছেন। কিছু কিছু ক্রেতা সবজি কিনছেন, তবে পরিমাণের থেকে কিছুটা কম। কারণ, অধিকাংশ সবজি গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেকের সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য নেই। এর মধ্যে ফুলকপি কেজিতে ৮০-৯০ টাকা, টমেটো ১০০-১২০ টাকা, শিম ৪৫-৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, পটল ৩৫-৪০, বরবটি ৪০-৫০, করলা ৬০-৭০, চিচিঙ্গা ৫০-৫৫, কাঁচকলা প্রতি হালি ৩০-৪০ টাকা, প্রতি আঁটি মুলাশাক ৮-১৫ টাকা, লালশাক ১০-১৫ ও পালংশাক ১৫-২০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান ও মায়ানমারের পেঁয়াজ ৫৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০-৮৫ টাকা, (গোল) বেগুন ৫০-৫৫ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।

এছাড়াও বাজারে ভোজ্য তেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা, প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫, জিল বাংলা সুগার মিলের চিনি ৯০-১০০ টাকা, আটা ৩৫ টাকা, শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ২৩০ টাকা, হলুদের কেজি ১৬০-২২০ টাকা, ইন্ডিয়ান ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ এবং দেশি ডাল ১১০ টাকা এবং রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকায়।

দেওয়ানগঞ্জ পৌরবাজারে আসা ক্রেতা সালাউদ্দিন বলেন, আমরা মধ্যবিত্ত মানুষ। বাজারের দাম যে পরিমাণ বাড়ছে সেই অনুযায়ী আমাদের পরিমাণমত বাজার করা সম্ভব হচ্ছে না। বাজার শীতের সবজিতে সয়লাব, কিন্তু সে অনুযায়ী দাম কমেনি। বরং কিছু কিছুর দাম আরও বেড়েছে। এখন দেখছি আমাদের চাহিদা মেটানো দায় হয়ে পড়েছে।

এনজিও কর্মী আব্দুর রহমান বলেন, পণ্যের যে পরিমাণ দাম হয়েছে। এ দামে আমাদের পরিমাণ অনুযায়ী বাজার করলে বেতনের সম্পূর্ণ টাকাই লেগে যাবে। তাই অনেক কিছু কিনতে মনে চাইলেও টাকার কথা চিন্তা করে কিনতে পারি না। প্রতিদিন বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বাড়লছে। কিন্তু আমাদের বেতন তো আর বাড়ছে না। যার কারণে আমরা অসহায় হয়ে পড়ছি। আমরা এমন এক শ্রেণীর মানুষ, যারা কারো কাছে হাত পাততে পারছি না, আবার সাধও মেটাতে পারছি না।

দেওয়ানগঞ্জ বাজার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ বলেন, শীতের সবজির দাম বর্তমানে কিছুটা বেশি হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই দাম কমতে শুরু করবে। কৃষকরা আগাম সবজি তুলে বেশি দামে বিক্রি করছে। অনেক কৃষকের সবজি এখনো বাজারে আসেনি। তাদের সবজি আসা শুরু হলেই বাজার কিছুটা কমে আসবে। আর শীতের সবজি ছাড়া অন্যান্য পণ্য আমাদের বিভিন্ন জেলা থেকে সংগ্রহ করতে হয়। তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় আমাদের পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। আবার অনেকের কাছ থেকে আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, যার কারণে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন : গাইবান্ধায় সড়কে ঝরল ৬ তাজা প্রাণ

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন্নাহার শেফা বলেন, বিভিন্ন সময় সরকারের নির্দেশনা থাকলে আমরা বাজার মনিটরিং করে থাকি। এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের তেমন কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। প্রসাশনের পক্ষ থেকে বিক্রেতাদের পণ্যের মূল্য লিখে দোকানে টানিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। আর দাম বৃদ্ধির কারণে এখনো কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তার ভিত্তিতে কিছুটা ব্যবস্থা নেওয়া যেত।

ওডি/এএম

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড