কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আগামী ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ৪র্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে চাপড়া ইউনিয়নের শুরু হয়েছে আগাম নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে উঠছে নির্বাচনী এলাকাগুলো। এখন শুধু অপেক্ষার পালা কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি তা দেখার।
বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজার এই চাপড়া ইউনিয়নের অবস্থিত ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম ৬ নং চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদ। অমর কথাসাহিত্য মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা এই ইউনিয়নে। এই ইউনিয়ন পরিষদ ২২টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার হচ্ছে ২১ হাজার ৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০,৮৫৫ জন এবং মহিলা ভোটার ১০,২৫৯ জন।
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন, চাপড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম হক, বর্তমান চেয়ারম্যান মনির হাসান রিন্টু, সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু, উদীয়মান নেতা তরিকুল ইসলাম তরুন, চাপড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, কুমারখালী থানা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আশাদুর রহমান আশা, মিজানুর রহমান মুসা ও ডা. রাসেল।
সেলিম হক বলেন, আমার রক্তের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের আদর্শ মিশে আছে। যেহেতু আমার বাবা ছিলেন চাপড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আমি এই ইউনিয়নবাসীর কাছে অতি চেনা মুখ। ইউনিয়নবাসী আমাকে কাজের মাধ্যমে চিনেন। তাই আমি আশাবাদী আমার সবকিছু বিবেচনা করে দল আমাকেই নৌকার মাঝি করবেন।
মনির হাসান রিন্টু (বর্তমান চেয়ারম্যান) বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছি। এরপর থেকে রাজপথেই রয়েছি। যারা শুধু আওয়ামী লীগের আদর্শকে শরীরে জড়িয়ে মুখে বুলি আওরায় কিন্তু কাজে নেই জনগণ তাদেরকে চায় না। আমি আশাবাদী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এবারও দলের জন্য ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করবেন। তৃণমুলের মতামতের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার আমাকেই মনোনয়ন দেবেন এটাই প্রত্যাশা করছি।
এনামুল হক মঞ্জু বলেন, আমার বাবা এই ইউনিয়নের ৬ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তাই ইউনিয়নের মানুষ আমাকে ভালো ভাবেই জানেন ও চেনেন। মানুষ এখন স্বচ্ছ পরিবর্তন চায়। আমি সুযোগ পেলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি গ্রামে গ্রামে বাস্তবায়ন করতে চাই।
তরিকুল ইসলাম তরুন বলেন, আমি আওয়ামী লীগের জন্য সব সময় রাজপথে থেকেছি আগামীতেও থাকবো। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে নির্বাচন করবো তা না হলে যে নৌকা প্রতীক পাবেন তার হয়েই কাজ করব।
আশাদুর রহমান আশা বলেন, আওয়ামী লীগের নামে সাধারণ মানুষদের ফাঁকি দেয়া, হয়রানি করা ও বিভিন্ন ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে নিজের পকেট ভরানোর রীতি থেকে এই ইউনিয়নের মানুষদের রেহাই দেওয়ার শপথ থেকেই নির্বাচনে অংশ নেওয়া। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি কথায় নয় কর্মের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে শত বছর বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করব।
সব প্রার্থীদের আলাদা আলাদা জনপ্রিয়তা রয়েছে। এখন দেখার বিষয় এবারের আসন্ন চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি?
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড