• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শিবচরে রেজাউল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার ১

  আবু সালেহ্ মুছা, শিবচর, মাদারীপুর

১৬ নভেম্বর ২০২১, ২১:০৭
আসামি এমদাদুল মুন্সী
রেজাউল করিম হত্যা মামলার আসামি এমদাদুল মুন্সী। (ছবি : দৈনিক অধিকার)

মাদারীপুর জেলার শিবচরে রেজাউল করিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১ মাস ২৬ দিন পর জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) এমদাদুল মুন্সী (২৩) নামের ওই ব্যক্তিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা যায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর রেজাউলকে চাকরি দেয়ার কথা বলে বগুড়া থেকে ডেকে এনে হত্যা করে বন্ধু রোলাস মালিথা রনি। তাকে সহযোগিতা করেন এমদাদ। গত ২০ সেপ্টেম্বর শিবচরের মাদবরচরের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে রেজাউল করিমের মুখ পোড়ানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে লাশ উদ্ধার হলেও পরে পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ।

শিবচর থানা পুলিশ জানায়, বগুড়ার সদর উপজেলার চকসূত্রাপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. রেজাউল করিম (৪০) ও কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার চর আমলা গ্রামের সরোয়ার হোসেনের ছেলে রোলাস মালিথা রনি (৪০) কর্মসূত্রে কয়েক বছর আগে নেপাল থাকতো। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। আড়াই বছর আগে দেশে আসার পরও তাদের যোগাযোগ ছিল। ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে রেজাউলকে পদ্মা সেতুর প্রকল্পে কাজ দেয়ার কথা বলে রনি শিবচরের মাদবরচরে তার শ্বশুর বাড়িতে আসতে বলে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর রেজাউল ৩ হাজার টাকা নিয়ে শিবচরের মাদবরচর আসে। রনি তার সহযোগী এমদাদ মুন্সীকে (২৩) প্রকল্পের কর্মকর্তা সাজিয়ে রেজাউলকে নিয়ে রাতে শিবচরের মাদবরচরের কালাই হাজীকান্দির একটি নির্জন এলাকার পরিত্যক্ত ঘরের কাছে নিয়ে যায়। রাত গভীর হলে মোবাইলে কথা বলার ভান করে রেজাউলকে পেছন থেকে গলায় ফাঁস দেয়। রেজাউল বাঁচার জন্য ছুটতে চাইলে ২ জনে মিলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।

পুলিশ আরও জানায়, রেজাউলের ছবি তুলে তার পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এমদাদ। কিন্তু দরিদ্র পরিবার টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। পরে পরিচয় গোপন করতে মরদেহটির মুখ পুড়িয়ে পালিয়ে যায় দুই ঘাতক। গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কালাই হাজী কান্দি গ্রামের টিনসেটের ওই পরিত্যক্ত ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে শিবচর থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে শিবচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাত পা বাঁধা ও মুখমণ্ডল ঝলসানো অবস্থায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে রেজাউলের লাশটি উদ্ধার করে। পরে শিবচর থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটনে নামে।

শিবচর থানার উপ-পরিদর্শক সঞ্জীব জোয়াদ্দারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সোমবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের কবুতরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এমদাদুল হক মুন্সিকে গ্রেফতার করে। এমদাদুল পুলিশের কাছে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমরা বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুনের রহস্য উদঘাটন করি এবং খুনের সাথে জড়িত এমদাদুলকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করি। এমদাদুলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থলের পাশের একটি পাটক্ষেত থেকে নিহত রেজাউলের ব্যাগ ও জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন : রাজধানীতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১

তিনি আরও বলেন, রেজাউল করিম হত্যাকাণ্ডের সাথে গ্রেফতারকৃত এমদাদুল সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। তাকে আজ দুপুরে মাদারীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামী রোলাস মালিথা রনিকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ওডি/জেআই

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড