• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

চুরির অপবাদ সইতে পারলো না ছাত্রী, স্কুল খাতায় ৮ পাতার আক্ষেপ

  সাগর মিয়া, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)

১৩ নভেম্বর ২০২১, ১৫:২২
আত্মহত্যা
আত্মহত্যা। প্রতীকী ছবি

চুরির অপবাদ সইতে না পেরে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় চিরকুট লিখে সুবর্ণা আক্তার (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। সুবর্ণা উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহেদল গ্রামের হাজী আকবর হোসেনের মেয়ে। সে গলাচিপা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

আত্মহত্যার আগে নিজের স্কুলের খাতায় ৮ পৃষ্ঠার চিরকুটে অপমানের বিবরণ লিখে চুরির অপরাধ অস্বীকার করে সুবর্ণা। পাশাপাশি এ রকম ঘটনা যেন আর কারও জীবনে না ঘটে তার বিচার চেয়ে লিখেন, এ ঘটনার বিচার না হলে তার আত্মা শান্তি পাবে না।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ আত্মহত্যার প্ররোচনার আলামত হিসেবে ওই ৮ পৃষ্ঠার চিরকুট লেখা খাতা ও মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা ভিডিয়ো জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। পাশাপাশি লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠায়।

নিহতের মা হালিমা খাতুন অধিকারকে জানান, গত ৫ অক্টোবর তাদের বাড়ির পাশে শিশু শিখন বিদ্যালয়ের খসরু মিয়ার ছেলের নাতনির স্বর্ণের চেইন ছিনতাই হয়। ঘটনার দিন ওই মেয়ে সুবর্ণা আক্তারকে সন্দেহ করে। পরে শিশু শিখন বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুন্নাহারকে নিয়ে সুবর্ণাদের বাড়িতে আসলে তাকে দেখানো হয়। তখন ওই মেয়ের বর্ণনা অনুযায়ী নিশ্চিত হওয়া যায় যে সুবর্ণা চেইন চুরির সাথে জড়িত না।

এ ঘটনার পর সুবর্ণার বাবা হাজী আকবর হোসেন স্থানীয় আশুতিয়া বাজারে গেলে সেখানে খসরু, লোকমান ও আব্দুল হামিদ গং নামে তিনজন তাকে মারধর করে। পাশাপাশি সুবর্ণাদের বাড়িতে এসে ওইদিন রাতে ২৫ থেকে ৩০ জনকে নিয়ে হামলা চালায়। এ ছাড়া সুবর্ণা স্কুলে যাওয়া-আসার পথে বখাটে মুন্না গং তার মেয়েকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল কথা বলে উত্যক্ত করে আসছিল বলেও জানান সুবর্ণার মা হালিমা খাতুন।

এ নিয়ে স্থানীয় মাদবরদের শরণাপন্ন হলে খসরু মিয়া ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে। এসব ঘটনা সইতে না পেরে অবশেষে লোকলজ্জায় সুবর্ণা আত্মহত্যা করে বলে দাবি করেন হালিমা খাতুন। পরে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

আরও পড়ুন : পরিত্যক্ত রেললাইনে মানবেতর জীবনযাপন

হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান অধিকারকে জানান, লাশ এখনো মর্গে থাকায় পরিবারে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) দাফন-কাফন শেষে মামলা দায়ের করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়নি বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ওডি/নিলয়

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড