• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ভাঙারির দোকানে মিলছে করোনা টিকার সিরিঞ্জ! 

  রয়েল আহমেদ, শৈলকূপা (ঝিনাইদহ)

০২ নভেম্বর ২০২১, ১৫:৪৯
ভাঙারির দোকানে মিলছে করোনা টিকার সিরিঞ্জ! 
করোনা টিকার সিরিঞ্জের বক্স । ছবি : অধিকার

ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলা শহরের বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে মিলছে করোনাভাইরাসের টিকার ব্যবহৃত সিরিঞ্জ-ভায়েল! কার্টুন কার্টুন সিরিঞ্জ আর ভায়েল এখন ভাঙারির দোকানে দোকানে ঘুরছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, শৈলকূপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা করোনাভাইরাসের যে টিকা দেওয়া হয়েছে সেসব সিরিঞ্জ আর ভায়েলসহ অন্য টিকার বস্তা-বস্তা ভায়েল পুড়িয়ে না ফেলে ভাঙারির দোকান গুলোতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

দোকানিরা জানান, হাসপাতালের কর্মচারীরা এসে তাদের দোকানে এসব বিক্রি করে যাচ্ছে। শৈলকূপার কবিরপুরে কবি গোলাম মোস্তফা সড়কে মা ক্রোকারিজ স্টোরে দেখা গেছে, পাঁচ কার্টুনের বেশি করোনাভাইরাসের ব্যবহৃত সিরিঞ্জ। আরও রয়েছে বিভিন্ন প্রকার টিকার বস্তা-বস্তা ভায়েল।

সিরিঞ্জ (ছবি : অধিকার)

এই দোকানটিতে রবিবার দুপুরে হাসপাতালের কর্মচারীরা এসে কার্টুন আর বস্তা ভর্তি সিরিঞ্জ-ভায়েল বিক্রি করেছেন। ৪০ টাকা কেজি দরে এসব তারা কিনেছেন।

ভাঙারি দোকানদার আব্দুল মান্নান জানান, তারা ভাঙাড়ি হিসাবে কিনেছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান বিজন কুমারের দায়িত্ব করোনাভাইরাসের এসব টিকার সামগ্রী দেখভালের দায়িত্ব। রোগীদের টিকা দেওয়ার পর এই টেকনিশিয়ান এসব স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ সামগ্রী পুড়িয়ে না ফেলে পাবলিকের হাতে ও ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দেন। যা জনস্বাস্থ্যর জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, সরকার এসব ব্যবহৃত সামগ্রী ধ্বংস বা পুড়িয়ে ফেলার জন্য তেল পর্যন্ত সরবরাহ করে থাকে। অথচ সমস্ত নিয়ম আর বিধি ভঙ্গ করে তিনি এসব বিক্রি করে দিচ্ছেন গোপনে।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে যেসব করোনা টিকার সামগ্রী দেওয়া হয়, সেসবের ব্যবহৃত সিরিঞ্জ আর ভায়েলও অরক্ষিত কিংবা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে পাবলিকের কাছে।

এই প্রসঙ্গে শৈলকূপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান বিজন কুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘কার্টুনসহ সিরিঞ্জ বাহিরে যাওয়া বা বিক্রির কোনো নিয়ম নেই। তার অধীনে থাকা সিরিঞ্জ-ভায়েল পুড়িয়ে ফেলেছেন।’

কীভাবে এসব বিক্রি হচ্ছে তা তিনি জানেন না বলে দাবি করছেন। এদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার কনক রহমান বলেন, ‘বিষয়টির ব্যাপারে দ্রুত খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। এসব সরঞ্জাম কোনো অবস্থাতেই পাবলিকের হাতে বা বাহিরে বিক্রির কথা নয়।’

আরও পড়ুন : কাপ্তাইয়ে মনোনয়ন পেলেন আ. লীগ প্রার্থী

এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, রাশেদ আল মামুন বলেন, ইপিআই টেকনিশিয়ান বিজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তিনি তাকে জানিয়েছেন, ইউনিয়নে কর্মরত তিন টেকনিশিয়ান এগুলো জমা দেননি। হয়তো সেখান থেকে কিছু হতে পারে বলে তিনি জানান।

ওডি/ এসএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড