প্রেমিকার ধর্ষণ মামলায় হাজতে চিকিৎসক প্রেমিক

পরিবারের লোকজন এক প্রকার জোর করেই বিয়ে দিয়েছেন পল্লী চিকিৎসককে। কিন্তু সেই বিয়ের ৪ দিনের মাথায় হাজতে যেতে হলো প্রেমিক শাহীন বাবু নামের সেই পল্লী চিকিৎসককে। তাও আবার ৭ বছর ধরে প্রেম করা প্রেমিকার করা ধর্ষণ মামলায়।

সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে এমনই ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট রেলওয়ে কলোনী মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়। আটক শাহীন এলাকার মৃত আজগার আলীর ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার থানাপাড়া এলাকার কাশেম আলীর মেয়ে স্বামীসহ বাস করত সৈয়দপুরের ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনে। চিকিৎসা সূত্রে পরিচয় হয় পল্লী চিকিৎসক শাহিন বাবুর সাথে। ফার্মেসীতে যাতায়াতের ফলে বাবুর প্ররোচনায় উভয়ের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সে সম্পর্ক দৈহিক পর্যায়ে পৌঁছায় বলে মামলার বিবরণে প্রকাশ পায়।

সেই সুবাদে বাবু বিয়ে করবার আশ্বাস দিলে ৭ বছর পূর্বে বাদিনী আগের স্বামীকে তালাক দেয়। এরপর বাবু তাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে নিজে বাসা ভাড়া করে দিয়ে রেখে ভরণ পোষণসহ সার্বিক ব্যয় নির্বাহ করে আসছিল।

বাবু মাঝে মাঝেই ঢাকায় গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকতো। বাদিনী প্রেমিকাও সৈয়দপুরে আসলে বাবুর বাড়িতেই অবস্থান করত। এভাবেই চলছিল তাদের সম্পর্ক। বিয়ের জন্য চাপ দিলেই সে আরও অপেক্ষা করতে বলে সময় ক্ষেপণ করে আসছিল।

এমতাবস্থায় হঠাৎ গত ২৮ অক্টোবর পারিবারিক ভাবে বাড়ির পাশেই বিয়ে করে পল্লী চিকিৎসক শাহীন বাবু। এই খবর পেয়ে ৩০ নভেম্বর প্রেমিকা সৈয়দপুরে এসে দেখে শহরের আধুনিক একটি কমিউনিটি সেন্টারে চলছে বাবুর বউভাত। এতে উপস্থিত হয়ে বাবুকে ডেকে নিয়ে বাদীনির সাথে প্রতারণার জবাব চাইলে বাবু বলে বিয়ে করলেও তোমার সাথে আগের মতই সম্পর্ক থাকবে ইনশাল্লাহ।

এতে বাধ্য হয়ে ওই পরকীয়া প্রেমিকা সৈয়দপুর থানায় গিয়ে প্রতারণা ও বিয়ের প্রলোভনে ধারাবাহিক ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে ১ নভেম্বর সোমবার দুপুরে এস আই তারেক মাহমুদ আসামিকে তার চেম্বার থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক শাহীন বাবু জানান, মহিলা আমার রোগী। সে স্বামী পরিত্যক্ত ও দরিদ্র অসহায় হওয়ায় প্রায়ই চিকিৎসার পাশাপাশি তাকে আর্থিক সহযোগিতা করতাম। ৭ বছর যাবত মোবাইলে কথা বলা ও দেখা করা ছাড়া অন্য কোনো সম্পর্ক নেই। ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত জানান, মহিলার সাথে দীর্ঘ ৭ বছরের সম্পর্ক আটক পল্লী চিকিৎসকের। বাদীর উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি আটক করে বিকালে নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ওডি/ এসএ