ব্যুরো প্রধান, ফেনী
ফেনীতে সহিংসতার ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক চারটি মামলায় গত ১৫ দিনে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রবিউল হক (৩০)। সে জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার মধ্যম মটুয়া গ্রামের আবদুল গনির ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান জানায়, গত ২৬ অক্টোবর রাতে আসামি রবিউল হককে ছাগলনাইয়া উপজেলার মধ্যম মটুয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ২৭ অক্টোবর তাকে আদালতে পাঠিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান শুনানি শেষে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার বিকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে কয়েক ঘন্টার জবানবন্দিতে রবিউল হক গত ১৬ অক্টোবর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এছাড়া তার সাথে থাকা আরও কয়েকজনের নাম আদালতে বলেছে সে।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, ওই দিনের হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ-র্যাব ও মন্দির কমিটির দায়ের করা পৃথক চার মামলায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৬৫৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরইমধ্যে পুলিশ, র্যাব ও সিআইডি পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার দিন রাত থেকে ২৯ অক্টোবর শুক্রবার রাত পর্যন্ত ১৫ দিনে ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এরমধ্যে ৬ আসামি রিমান্ডে রয়েছে। এদের মধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রবিউল হক (৩০), তৌহিদুল ইসলাম জিদান (১৬), গোলাম মোরশেদ খাঁনসহ (২০) আরও ৪ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টানা ৮ ঘণ্টা ফেনী শহরের ট্রাংকরোডে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হামলা- দোকান ভাঙচুর ও অগ্নসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষে ফেনী মডেল থানার ওসিসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
এসব ঘটনায় ফেনী মডেল থানার দুই এসআই বাদী হয়ে দুটি পৃথক মামলায় অজ্ঞাত ৪০০ জনকে,স্থানীয় মন্দির কমিটির মামলায় অজ্ঞাত ২৫০ জনকে এবং আইসিটি আইনে র্যাবের দায়ের করা মামলায় এজহার নামীয় তিনকে আসামি করে চারটি মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ অজ্ঞাতনামা এসব আসামি চিহ্নিত করার কাজ করছে।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড