নেহাল আহম্মেদ প্রান্ত, আদমদীঘি (বগুড়া)
দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। ভোরের আলো ফুটলেই দেখা মিলছে কুয়াশার। শীতের আগমনে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে লেপ-তোশকের দোকানে ভিড় করছে মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের বিভিন্ন শহরে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশকের কারিগররা। যেন দম ফেলবার ফুসরত নেই। প্রায় সব দোকানেই ভিড় করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। এদের কেউ সম্পূর্ণ নতুন আবার কেউ পুরাতন লেপ-তোশক দিয়ে ফের নতুন করে বানাতে এসেছেন।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, করোনার কারণে আগের মতো বেচা-বিক্রি নেই। শীতের তীব্রতা বাড়লে বেচা-বিক্রি ও বাড়বে বলে জানান তারা। গত কয়েকদিন ধরে শীত পড়তে শুরু করায় দোকানে ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন। শীতের কথা মাথায় রেখে আগে অর্ডার দিয়ে প্রয়োজনমতো লেপ-তোশক বানিয়ে নিচ্ছেন অনেকে।
সান্তাহার পৌর শহরের স্টেশন এলাকার কারিগর ফারুক হোসেন ওজামাল জানান, তুলার দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। বড় ও মাঝারি ধরণের লেপ-তোশকের চাহিদা বর্তমানে বেশি। প্রতিদিন কিছু না কিছু অর্ডার পাচ্ছি। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরও অর্ডার পাবো। কম দামের সুতা দিয়ে মাঝারি সাইজের লেপ তোশকের দাম পড়ছে ৯ শত টাকা থেকে ১ হাজার টাকা। আর একটু ভালো মানের সুতা দিয়ে লেপ বা তোশক বানালে তার দাম ধরা হচ্ছে ২হাজার টাকা থেকে ২৫ শত টাকা পর্যন্ত।
মিজান নামে এক ক্রেতা জানান, শীত আসতে শুরু করেছে, কাঁথা-বালিশ পুরনো হয়ে গেছে। শীতের প্রভাব বেশী হলে সেগুলোতে আর শীত মানে না। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোশক-বালিশ বানাতে দিলাম।
সান্তাহার রেলওয়ে টিকিট ঘর এলাকার ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ হোসেন জানান, আগের মতো তেমন একটা ব্যবসা নাই। মানুষের খুবই অভাব। তারমধ্যে করোনার কারণে মানুষের মাঝে চরম হতাশা। তবে শীতের প্রকোপ বাড়লে অর্ডারও বাড়তে পারে।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড