এম. কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি
রাঙামাটির ভেদভেদীতে ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী আবুল কালামসহ তার ছেলেদের নির্যাতনের শিকার এলাকাবাসী। কালাম রাঙামাটি আসার পর প্রথমে তবলছড়ি পর্যটন এলাকায় খেয়া ঘাটের মাঝি ছিলেন। সেখানে মদ খাওয়াসহ বিভিন্ন অপকর্মে ধরা খেয়ে ২০০৪ সালে শহরের ভেদভেদীস্থ এলাকায় বসবাস করে আসছে। কালামের প্রকৃত বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায়।
আবুল কালাম পূর্বে বিএনপিপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল। সে তার অপকর্ম ও অনিয়ম-দুর্নীতি আড়াল করতে শ্রমিক লীগে যোগ দেয়। বর্তমানে সে সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি পদে আছে। এই পদ-পদবী পুঁজি করে শিমুলতলী ও ভেদভেদী এলাকায় ভূমি জবরদখল, মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, দোকান চুরি, বসতভিটার সীমানা নিয়ে মারামারি, জমি দখল করে বিক্রি করাসহ সকল অপকর্মের মূলহোতা সে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এই আবুল কালাম ও তার ছেলে ইয়াবা সম্রাট আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অগণিত অভিযোগ এলাকাবাসীর। ভেদভেদী এলাকার ত্রাস দৃষ্টিকারী আবুল কালাম ও তার ছেলেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। আবুল কালাম নিজেই খাস জমি বিক্রি করে এবং নিজেই ক্রেতার কাগজে স্বাক্ষর করে। পরক্ষণে নিজেই আবার ওই জমি অন্য লোকের কাছে বিক্রি করে। এভাবে সে এলাকার তাসলিমা, সাইফুল ইসলাম, মুদি দোকানদার দুলাল, শাহনেওয়াজ ও হালিমার সাথে বিরোধে জড়িয়ে ৮-১০টি মামলা করেছে।
বাহার উদ্দিন নামে স্থানীয় একজনের কাছে জমি বিক্রি করে তা বুঝিয়ে দিচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে সবার অভিযোগ, আবুল কালাম একজন ভূমিদস্যু, ভূমিলাল, মামলাবাজ, অপকর্মকারী, ক্রিমিনাল ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগকারী। তার ছেলে আনোয়ার এবং সে মাদক কারবারের সাথে জড়িত। স্থানীয় প্রশাসন জেনে-শুনেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। যে তার বিরুদ্ধে কথা বলে তার বিরুদ্ধে কালাম উল্টো মামলা করে দেয়। এলাকায় কারও কথা শুনে না কালাম। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি তার কোনো প্রকার শ্রদ্ধা নেই বললেই চলে।
শ্রমিক লীগের জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক মো. রফিকুল হক বলেন, আবুল কালাম একজন ভূমিদস্যু ও এলাকার পঁচা শামুক। সে জমি দখল করে আর নামে-বেনামে বিক্রি করে। তার নির্যাতনে এবং অপকর্মে এলাকার অসহায় মানুষগুলো অতিষ্ঠ। গায়ের জোরে ও তার লাঠিয়াল বাহিনীর ভয়ে আতঙ্কে থাকে এলাকার লোকজন। অপরদিকে বর্তমানে তার আয়ের উৎস হলো নিষিদ্ধ ইয়াবা বিক্রি। ভুয়া কাগজপত্র সাজিয়ে এক জমি ২-৩বার বিক্রি করে আবুল কালাম। এ ধরনের নজির অনেক আছে।
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, অনেক আগে আবুল কালাম ও দুলাল উভয়ে উভয়ের মধ্যে জমির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছিল। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন : পটুয়াখালীতে কলেজছাত্রকে জোর করে বিয়ে, তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা
এসব অভিযোগের বিষয়ে আবুল কালাম বলেন, দুলাল আমাকে ও আমার পরিবারবর্গ সম্পর্কে যে সকল মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি সে জনস্বার্থে হাঁটা-চলার রাস্তা বন্ধ করতে চায় সেটারও প্রতিবাদ জানাই। ইতোমধ্যে সে আমার বিরুদ্ধে ওঠেপড়ে লেগেছে। আমি তার বিচার চাই।
ওডি/এএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড