হারুন আনসারী, ফরিদপুর
ফরিদপুরের বহুল আলোচিত ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক এবং সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস এ এইচ এম ফোয়াদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা এই তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে ফোয়াদকে ঢাকার বসুন্ধরা থেকে গ্রেফতার করে ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়। তিনি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামি। সবমিলিয়ে আটটি মামলার আসামি তিনি। এরমধ্যে তিনটি মামলায় তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২১ মার্চ এ এইচ এম ফোয়াদ ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হন। গত বছরের ২৩ আগস্ট জেলা যুবলীগের ওই আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রাবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
এ দিকে, ২০১৫ সালের ১৫ জুন ফরিদপুরের বাস টার্মিনাল এলাকায় ছোটন নামে একজন বাস শ্রমিকে হত্যা করা হয়। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল গফফার জানান, ছোটন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে এ এইচ এম ফোয়াদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে তাকে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলী আদালতে প্রেরণ করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় ১৮ মে সুবল চন্দ্র সাহা কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। ওই মামলায় ৬ জুন রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে শহর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া অন্যরা আত্মগোপনে যান।
আরও পড়ুন : ধর্ষণ মামলায় বিএনপি নেতার জামিন, আ. লীগের মিছিল
এ দিকে, গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী-২০১৫ ধারায় ঢাকার কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস। গত ৩ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে বরকত ও রুবেলসহ ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এপিএস এএইচএম ফোয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল হাসান লেভি, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাহিন, শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মাদ আলী মিনার ও তারিকুল ইসলাম নাসিমকে অভিযুক্ত করা হয়।
ওডি/নিলয়
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড