রহমত উল্যাহ, কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী)
প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির এই যুগে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জবাসীর অন্যতম সমস্যা পল্লী বিদ্যুতের বিড়ম্বনা। কর্তৃপক্ষের মতে এটি লোডশেডিং না হলে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুতহীন থাকতে হচ্ছে উপজেলার পৌরসভা ব্যাতিত বাকি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ ও সরেজমিন অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, উপজেলাটিকে ইতিমধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ দীর্ঘ সময় ধরে থাকছে না। কখনো দেখা গিয়েছে নোয়াখালী-কুমিল্লা ফোর লেন সড়কের কাজের জন্য পুরো দিন বিদ্যুৎ থাকছে না। আবার কখনো ৩৩ কেভি লাইনের সংস্কার কাজ। এছাড়াও গ্রীষ্মকালে অতি গরমে ট্রান্সফরমার কিংবা লাইন ফল্ট করা, বর্ষাকালে বিদ্যুতের লাইনের পাশে থাকা বড় গাছ কিংবা গাছের ডালপালা পড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া। এসব যেন নিত্য কর্মযজ্ঞ।
বিদ্যুৎ বিভাগের মতে, মূলত এটি কোনো লোডশেডিং না। যে সকল কারনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে তার মধ্যে অন্যতম হলো, চৌমুহনীর মূল কেন্দ্র হতে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত সোর্স লাইনের দূরত্ব ৫৪ কিলোমিটার এর ফলে এই কিলোমিটারের মধ্যে অন্য দুটি উপজেলার সমন্বিত খুঁটি গুলোতে কাজ করলে কোম্পানীগঞ্জের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে।
এছাড়াও, নোয়াখালী-কুমিল্লা ফোর লেন সড়ক সম্প্রসারণ কাজে বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তরের জন্য অতিরিক্ত লোডের কারণে চৌমুহনী মূলকেন্দ্রে রাইজার পুড়ে যাওয়া, বর্ষাকালে মাটি নরম হয়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ পড়ে যাওয়া এবং গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়ার কারণে অনেক সময় দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে।
বিদ্যুৎ বিভাগ আরও জানায়, রাস্তার পাশে বৃহৎ আকৃতির গাছ রোপণ করা এবং এমন গাছ রোপণ করা যা সহজে বাতাসে উপড়ে পড়ার কারণে বর্ষাকালে বেশি সমস্যা দেখা দেয়। বছরে তিনবার গাছের বর্ধিত ডালপালা কর্তনের জন্য বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। এছাড়াও বর্ষাকালে বজ্রপাতের ফলে অনেক সময় লাইন এবং ট্রান্সফর্মার সমস্যা হয়ে থাকে।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোম্পানির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমাদের দুটি বিকল্প সংযোগের কাজ চলছে।
দাগনভূঞার তুলাতলিতে G2G প্রকল্পের আওতায় একটি GIS গ্রিড কেন্দ্র হবে। ঐ কেন্দ্র থেকে বিকল্প সংযোগ নিতে ইতিমধ্যে সোর্স লাইনের নির্মাণ প্রায় শেষ পথে। কেন্দ্রটি চালু হলেই আমরা সংযোগ নিতে পারব। এক্ষেত্রে আমাদের সোর্স লাইনের দূরত্ব হবে ১৮ কিলোমিটার। অন্যদিকে চট্টগ্রামের মিরসরাই ইকোনমিক জোন গ্রীড কেন্দ্র থেকে আরেকটি বিকল্প সংযোগ নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে কাজটি টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে। ঐ কেন্দ্র থেকে আমাদের লাইনের দূরত্ব হবে ২৬ কিলোমিটার।
বিকল্প সংযোগ দুটি চালু হলে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে চলমান সমস্যা অনেকটা দূর হয়ে যাবে বলে জানান প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড