• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রাঙামাটিতে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ

  এম কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি

০৬ অক্টোবর ২০২১, ২০:১৭
জমি
বিরোধপূর্ণ জমি। ছবি : অধিকার

রাঙামাটিতে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রভাব খাটিয়ে জমি ভোগদখলের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, শহরের উত্তর কালিন্দীপুর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাঙামাটি পৌরসভাধীন ১০২ নম্বর রাঙ্গাপানি মৌজা (রাজবাড়ি স-মিল) সংলগ্ন এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ভূমি নিয়ে বিরোধের ঘটনা ঘটে। ওই এলাকায় জমির বিরোধের জের ধরে ব্যবসায়ী সামছুল হক (৫২) ও স্যানিটারি নির্মাণ ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানের মধ্যে মামলা-মোকাদ্দমা চলমান। কিন্তু জমির ক্রয়কারী ও ভোগদখলকারী আব্দুর রহমানকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে সামছুল হক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে বিজ্ঞ বিচারক ও অতিরিক্ত জেলা হাকিমের আদালতে একজন উকিলের মাধ্যমে ক্রয়সূত্রে জমির দাবি করে সামছুল হক বাদী হয়ে আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪/১৪৫ ধারা মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণের প্রার্থনা করে একটি মামলা করেন। পরে সামছুল হক বনাম আব্দুর রহমানের ওই মামলার আদেশনামায় ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ সামছুল হকের মামলাটি রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ করে কোনো প্রকার সত্যতা না পাওয়ায় মামলা খারিজ করে আব্দুর রহমানের পক্ষে রায় দেন।

তবে আদালতের রায়ের পরও জায়গাটি বহাল তবিয়তে জবরদখল করে আছেন সামছুল হক। আদালতের রায়কেও তিনি তোয়াক্কা করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ দিকে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের রায়ের কপিতে ওসি কোতোয়ালিকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলেও সেবা গ্রহীতা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনোপ্রকার সহযোগিতা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে জমি ভোগদখলকারী ও রায়প্রাপ্ত আব্দুর রহমান জানান, বিবাদী সামছুল হক কী করে বা কীভাবে আমার ভোগদখলীয় জায়গায় জমি রেকর্ড করেছে তা আমি জানি না। ২০২০ সালের শেষের দিকে করোনাকালীন লকডাউনের সময় হঠাৎ একদিন সকালে সামছুল কতিপয় লোকজন ভাড়া করে এসে আমার তৈরি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে দিয়ে জবরদখল করে স্থাপনা নির্মাণসহ জায়গা দখল করে। অথচ উভয়ের মধ্যে আদালতে মামলা চলমান।

তিনি জানান, জজ কোর্ট ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উভয়ের মামলা চলমান রয়েছে। এরমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সামছুল হক কর্তৃক দায়ের করা মামলা আমার পক্ষে রায় হয়েছে। কিন্তু সে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় অমান্য করে আমার জমি ভোগ দখল করছে।

আরও পড়ুন : ৮ দিনেও সন্ধান মেলেনি রাউজানের মা হারা দুই বোনের

এ বিষয়ে সামছুল হক জানান, আদালতে এ জমির ওপর সিভিল সুট মামলা থাকার কারণে অতিরিক্ত জেলা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমার দায়ের করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। সে যে জমির ওপর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন সে জমির মালিক যদি সে হয়, তাহলে আবার সাইনবোর্ড ঝুলাতে হয় কেন। আবার তৃতীয় ব্যক্তি দিশারী একই জায়গার ওপর উচ্ছেদ মামলা করেন কীভাবে। সবকিছুই যেন জগাখিচড়ির মতো। একই জমির তিনজন মালিক হয় কী করে- এমন প্রশ্ন অনেকের।

বিষয়টিতে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. কবির হোসেন জানান, আদালতে মামলা রয়েছে কীভাবে পুলিশ গিয়ে হস্তক্ষেপ করবে। উভয়ের মামলা আদালতে বহাল আছে। আর স্পষ্ট করেও বলা হয়নি কীভাবে আইনি সহায়তা দেব। পুলিশ চাইলেই তো কারও জমি-জায়গা দখল করিয়ে দিতে পারে না।

ওডি/নিলয়

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড