মো. কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশ, (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের আবদুল বারী হাট সংলগ্ন বরুমতি খালের ওপর বেইলি ব্রিজটি বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রিজের নিচের অংশের মাটি সরে গিয়ে ব্রিজের মধ্যাংশের পিলারটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
ব্রিজটির পাটাতনগুলো জং ধরে নষ্ট হয়ে পড়ায় যানবাহন চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রা।
তারা বলছেন, ব্রিজটির একপ্রান্তে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ লেখা সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগালেও নতুন ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে বিগত তিন বছর ধরে সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করছে।
জানা যায়, চন্দনাইশ পৌরসভার আবদুল বারী হাট বেইলি ব্রিজটি এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার জন্য ১৯৮২ সালে সরকারের সড়ক ও জনপথ বিভাগ অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করেছিল। কিন্তু দীর্ঘ ৩৯ বছর অতিবাহিত হলেও বেইলি ব্রিজটি অস্থায়ী থেকে যায়। পূর্ণাঙ্গ ব্রিজে রূপ নেয়নি। যদিও পূর্ণাঙ্গ ব্রিজ নির্মাণের জন্যই বেইলী ব্রিজটি করা হয়েছিল। অজানা কারণে ব্রিজটি আর পূর্ণাঙ্গ ব্রিজের রূপ দেয়া হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেইলি ব্রিজটির দৈর্ঘ্য বেশী না হলেও তিনটি ভাগে স্প্যানগুলি স্থাপন করা হয়েছে। স্প্যানগুলি জং ধরে ভেঙে গেছে। ব্রিজের নিচের অংশের মাটি সরে গিয়ে ব্রিজের মধ্যাংশের পিলারটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রিজ পারাপারের সময় যানবাহনগুলো যেকোনো সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মন্তব্য করেছেন।
স্প্যানগুলি ভেঙে যাওয়ার কারণে ভারী যানবাহনের চালকেরা চলাচলের সময় আতঙ্কে থাকেন। এ ব্রিজের সাথে সংযুক্ত হয়েছে বাগিচাহাট-উপজেলা সড়ক, গাছবাড়ীয়া-আবদুল বারী হাট সড়ক, ভগবান চৌধুরী হাট-আবদুল বারী হাট সড়ক। চারটি সড়কের সংযোগস্থল এ ব্রিজটি জরুরিভাবে পূর্ণাঙ্গ ব্রিজে রূপ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন জনগণ।
এ সড়কে হাশিমপুর, সাতবাড়ীয়া, বৈলতলীর অধিকাংশ লোকজন বিভিন্ন প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কাজে চন্দনাইশ সদরে আসেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবহেলার কারণে ব্রিজটি পূর্ণাঙ্গ ব্রিজে রূপ দেয়া হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ব্রিজটির দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগের।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ সকল ব্রিজ সাধারণত এক থেকে দেড় বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ ব্রিজ নির্মাণের মধ্য দিয়ে বেইলি ব্রিজের কাজ সমাপ্ত হয়। এছাড়াও বেইলি ব্রিজ দিয়ে ভারি যান চলাচল করা নিষেধ। বর্তমানে ব্রিজের পাটাতনগুলো সম্পূর্ণ জং ধরে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যেকোনো সময় সড়ক দুর্ঘটনাসহ ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল জনসাধারণের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ দৈনিক অধিকারকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি রিপ্লেস করে পিএনপি সেতু মেজর এর আওতায় নতুন সেতু নির্মাণের জন্য প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। সেটি পাশ হলে দ্রুততম সময়ে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন : বাঘাইছড়িতে "জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস -২০২১" উপলক্ষে আলোচনা সভা
ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু লেখা সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেতুটি দিয়ে যাতে ভারী যানবাহন চলাচল না করে সেজন্য স্থানীয় জনসাধারণকে ভূমিকা রাখতে হবে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড