• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্স মোড়ে চাঁদাবাজি, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পবিরহন মালিকরা 

  সাজিদ সুমন

০২ অক্টোবর ২০২১, ১৭:০৭
পরিবহন
পরিবহন (ছবি : সংগৃহীত)

গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্স মোড়ে পরিবহনে চাঁদাবাজি চলছে। এতে পবিরহন মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এছাড়া পরিবহনে যাত্রী তুলে দিতে ভাড়ার অর্ধেক টাকা কমিশন হিসেবে আদায় করা হচ্ছে । গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে যাত্রীদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।

এ বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে পরিবহন ব্যবসায়ী জোবায়ের হোসেন জনি গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত আবেদন দায়ের করেছেন।

আবেদনের বরাত দিয়ে পরিবহন ব্যবসায়ী জোবায়ের হোসেন জনি বলেন, আমি চৌধুরী পরিবহনের চেয়ারম্যান। আমার গাড়ি গুলো সেতু ডিলাক্সের ব্যানারে খুলনা-মাওয়া রুটে গোপালগঞ্জ হয়ে চলাচল করে। গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্স মোড়ে গোপালগঞ্জ বাস মালিক সমিতির উন্নয়ন ফিসের নামে ছাঁদা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদার টাকা না দিলে বাসের সুপার ভাইজারকে মারপিট করা হয়। এছাড়া সুপারভাইজারদের কাছ থেকে টাকা পয়সা কেড়ে নেয়া হয়। পুলিশ লাইন্স পয়েন্টে বাসে যাত্রী তুলে দিয়ে ভাড়ার আর্ধক টাকা কমিশন হিসেবে দুর্বৃত্তরা দেখে দেয়। এ অবস্থায় পরিবহন ব্যবসায়ী ও যাত্রীরা চাঁদাবাজ চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।

বাসযাত্রী ঢাকার যাত্রবাড়ির নার্সিস সুলতানা, খুলনার ওমর আলী, মাদারীপুরের শাহাবুদ্দিন মোল্লা বলেন, পুলিশ লাইন্স থেকে পরিবহনে ওঠার সময় অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়। টিকেট কেটে গাড়িতে যারা উঠিয়ে দেন তারা অনেক সময় খারাপ ব্যবহার করেন। কখনো কখনো বাকবিতন্ডা হলে যাত্রীদের মারধর করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাস মালিক (এনামুল গাজী) বলেন, এখানে চাঁদাবাজির নামে চলছে জুলুমবাজি। গাড়ি প্রতি ২ শ’ টাকা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদা না দিলে যাত্রী নামিয়ে পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে আমাদের ও যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এছাড়া তারা বাস স্টাফদের মারধর পর্যন্ত করেন। অনেক সময় সুপার ভাইজারদের কাছ থেকে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। গাড়িতে যাত্রী তুলে দিয়ে তারা বাস স্টাফদের অর্ধেক ভাড়া বুঝিয়ে দেন। এতে আমরা খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।

মালিক সমিতির চাঁদা আদায়কারী হাবিব বলেন, জনির সাথে গোপালগঞ্জের গাড়ি ও মাওয়ার গাড়ি চলাচল দিয়ে ঝামেলা হয়েছিলো। তাই তার গাড়ি ও আমাদের মালিক সমিতির গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিলো। পরে দু’ পক্ষের মধ্যে সমঝোতার পর দু’ পক্ষের গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের সব জেলায়ই মোটর মালিক ও শ্রমিক চাঁদা আছে। তার ধারবাহিকতায় আমরাও কিছু উন্নয়ন ফিস আদায় করি। কিন্তু জনির অভিযোগ সত্য নয়।

গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বলেছেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিধি মোতাবেক তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ওডি

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড