তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমারখালী, কুষ্টিয়া
আব্দুল রশিদ বিশ্বাস। মারা গেছেন পাঁচ বছর আগে। তবে পাঁচ বছর পর ফের ওই ব্যক্তির মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে! এমনকি তিনি নাকি প্রতিবন্ধী ভাতাও উত্তোলন করেছেন!
অবিশ্বাস্য হলেও পাঁচ বছরের ব্যবধানে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় একই ব্যক্তির দুইবার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে! এমনকি সেই ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধনও হয়েছে দুইবার!
জানা গেছে, উপজেলার সদকী ইউনিয়নের পাথরবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আব্দুল রহিম বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল রশিদ বিশ্বাস গত ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে মৃত্যুবরণ করে। পরে সদকী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর রেজিস্ট্রারের পাতা নম্বর-১০৪ এর ১৩৮ নম্বর ক্রমিকে তার মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়।
তবে পুনরায় একই ব্যক্তি তার চাচাত ভাই ও কুমারখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. নাসির বিশ্বাসের বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন মর্মে গত ১৩ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে কুমারখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র স্বাক্ষরিত একটি মৃত্যু সনদে উল্লেখ করা হয়। যার রেজিস্ট্রার নম্বর-৮৪, পাতা নম্বর-১৯৮, বই নম্বর- ২০০৮-২০১২ ইং।
এ বিষয়ে এরই মধ্যে মৃত ব্যক্তির চাচাতো ভাই নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ভুয়া মৃত্যু সনদের সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে জেলা দুনীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), কুমারখালী পৌরসভার মেয়র ও সদকী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
দৈনিক অধিকারকে তিনি বলেন, রশিদ বিশ্বাস গত ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে পাথরবাড়ীয়া গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। তবে সদকী ইউনিয়নে তার মৃত্যু হয়েছে মর্মে মৃত্যু সনদ, ভোটার আইডি কার্ড এমনকি সদকী ইউনিয়ন থেকে প্রতিবন্ধী ভাতাও উত্তোলন করতেন বলে ওই ভুয়া মৃত্যু নিবন্ধন সনদটি জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসায়ীকে হেনস্তার অভিযোগ
এ ব্যাপারে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ খান দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমার ওয়ার্ডে কেউ মারা যাবে, আমি জানব না তাই কি হয়? আব্দুল রশিদ বিশ্বাস নামে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু তো দূরের কথা, এই নামে কোনো বাসিন্দা আমার ওয়ার্ডে ছিল না। এই ভুয়া মৃত্যু সনদের সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
ওডি/নিলয়
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড