শৈলকুপায় অন্ধকারে সরকারি অফিসের ঢালাই কাজ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পোস্ট অফিসের ছাদ ঢালাই কাজে ছিল না কোন মিক্সিং মেশিন, ভাইব্রেটর, না ছিল স্থানীয় পোস্ট অফিসের কোন তদারকি। খোদ ডাক বিভাগের প্রকৌশলীর উপস্থিতিতেই রাতের আধারে নিন্মমানের খোয়া ও বালি দিয়ে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পোস্ট অফিসে। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দাবি খোয়া, বালি ও সিমেন্ট মেশান মেশিন ফিরে যাওয়ায় তারা ছাদ ঢালাইয়ের বাকী কাজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে হাতে মিশিয়ে রাতে করছেন।

খোজ নিয়ে জানা যায় শৈলকুপা পোস্ট অফিসের ছাদ ঢালাই, প্রাচীর নির্মাণ ও বিভিন্ন সংস্কার কাজের কার্যাদেশ পান ঢাকার নির্মান প্রকৌশলী লি. নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। টেন্ডার পত্র না দেখালেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে জানা যায় এ কাজের প্রাক্কলিত ব্যায় ধরা হয়েছে ৬৬ লাখ টাকা।

পোস্ট অফিসের সামনের দোকানী নুর ইসলাম বলেন, পোস্ট অফিসের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ ঠিকাদারের লোকজন রাতে সম্পন্ন করে। এ সময় খোয়া বালি মেশানো কোন মেশিন তাদের ছিল না। খোয়া ছিল নিম্ন মানের। তদারকি ছিল না স্থানীয় পোস্ট অফিসের কোন কর্মচারীর।

পোস্ট অফিসের পোস্টাল অপারেটর আব্দুল ওহাব বলেন, পোস্ট অফিসের ঢালাই কাজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দিনে শুরু করলেও তা মাঝপথে থামিয়ে রাত ৯টার দিকে পূনরায় শুরু করে। যা ছিল অনিয়মে ভরা এ সময় ছিল না কোন মিক্সং মেশিন, ভাইব্রেটরসহ আনুসঙ্গীক যন্ত্রপাতি।

শৈলকুপা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার মোমিনুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছাদ ঢালাই কাজ দিনে শুরু করলেও মাঝ পথে তা থামিয়ে রাখে। পরে জানতে পারেন পোস্ট অফিসের ছাদ ঢালাই কাজ রাতে শুরু হয়েছে। এ সময় ডাক বিভাগের একজন প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম বলেন, শৈলকুপা পোস্ট অফিসের ঢালাই কাজ তারা দিনে শুরু করেন। কিন্তু মাঝপথে ঢালাই মেশিন চলে যায়। এ কারনে তারা স্থানীয় শ্রমিক সংগ্রহ করে ঢালাই কাজ পূনরায় মঙ্গলবার রাতে শুরু করেন। স্থানীয় পোস্ট অফিসের কোন ব্যক্তি না থাকলেও ডাক বিভাগের একজন প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন : স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ডাক বিভাগের প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে শৈলকুপা পোস্ট অফিসের ঢালাই কাজ মিক্সার মেশিন, ভাইব্রেটর ছাড়া হলেও কোন সমস্যা হবে না। তবে দিনের ঢালাই রাতে সম্পন্ন এ প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে দ্রুত সরে পড়েন।

ওডি/এফই