এমদাদুল হক লালন, বকশীগঞ্জ (জামালপুর)
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের গাজীর পাড়া কাঁটাখালি খালের ওপর নির্মিত সেতুটি তিন বছর আগে পানির স্রোতে ভেঙে যায়। এরপর থেকেই শুরু হয় ৮ গ্রামের মানুষের নিয়মিত দুর্ভোগ ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে সেতুটি বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে যায়। এরপর থেকে আট গ্রামের বাসিন্দারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বর্ষাকালে নৌকা তাদের একমাত্র ভরসা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় তাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটি পুরা অংশ পানির নিচে পড়ে আছে। বিকল্প রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে লোকজন।
চর গাজীর পাড়া, বাংগাল পাড়া, কলাকান্দা, ডেরুর বিল, দপর পাড়া , বালুগ্রাম ,পূব দপরপাড়া, আচ্চা কান্দিসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ নৌকা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে। এলাকাবাসীর পুনরায় সেতুটি নির্মাণের দাবি জানান।
ওই গ্রামের রিপন গাজী জানান, অনেক দিনে ধরে এই ব্রিজটি এইভাবে ভেঙ্গে পরে আছে। আমাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল । শাক-সবজি নিয়ে হাটে বিক্রি করা যাচ্ছে না। এবং কৃষিপণ্যের সঠিক দামেও পাচ্ছেন না।
একই এলাকার সুজন মিয়া বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় বন্যার সময় নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। রাতে কেউ যদি অসুস্থ হয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে কোনো গাড়ি-ঘোড়া চলাচল করতে পারেনা।
সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু জানান , গত তিন বছর আগে বন্যায় সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর থেকেই শুরু হয় ভোগান্তি। ভেঙে যাওয়ার পর ওই জায়গাতে আমি দুইবার আমার নিজ অর্থায়নে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছি। বন্যায় ভেসে নিয়ে যায় সাঁকো।
উপজেলা (এলজিইডি ) ইঞ্জিনিয়ার ও ইউএনও"র মহোদয়ের সাথে এই ভাঙ্গা ব্রিজ নিয়ে একাধিকবার আমার কথা হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ব্রিজটি ২০১৮ সালের বন্যায় ভেঙে গেছে। ব্রিজটি পুনরায় নির্মাণ করার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এখনও অনুমোদন আসেনি। এ বিষয়ে এমপি স্যারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড