কাজী শাহরিয়ার রুবেল, আমতলী (বরগুনা)
মহামারি কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে দেশে প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েছে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন। বরগুনার আমতলী উপজেলার ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেখানে পাঠদান করানো প্রায় অসম্ভব।
কোনও কোনও বিদ্যালয় নিয়েছে বিকল্প ব্যবস্থা। তবে ব্যবস্থা নিলেও অধিকাংশ বিদ্যালয় পাঠদান নিচ্ছে জরাজীর্ণ ভবনে।
এরই মধ্যে রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে ৫৪৪ দিন বন্ধের পরে শিক্ষার্থীরা ফিরছে নিজ নিজ বিদ্যাপীঠে। এমন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকা সত্বেও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তথ্য মতে, উপজেলায় মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫২টি, এর মধ্যে ২০টি বিদ্যালয়ের ভবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মন্ত্রণালয়ের (এলজিডি) অর্থায়নে ১৯৯৪-২০০২ সালের মধ্যে এসব সরকারি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয়।
ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে এসেছে। বৃষ্টি হলে ছাদ চুয়ে পানি পরে, কক্ষের দেয়াল ফেটে গিয়ে খসে পড়ছে পলেস্তারা।
জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাদের পলেস্তারা নেই। মরিচাযুক্ত রড ফেটে ফেটে পড়ছে। নিরাপত্তা পিলারের ইট সুরকি খসে ভেতরের রড বেরিয়ে গেছে। কিছু কিছু বিদ্যালয়ের জানালা নেই, মরিচা ধরে ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে।
৪৪ নং দক্ষিণ রাওঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূপুর আক্তার জানান, খুব ঝুঁকি থাকা সত্বেও আমরা এই জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান করছি। শুনেছি নতুন ভবনের দরপত্র শেষে ঠিকাদারকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মুজিবর রহমান বলেন, পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া বিকল্প উপায়ে পাঠদানের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : সোনারগাঁয়ে উপ- নির্বাচন: আ.লীগ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার হোসেন মুঠোফোনে জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ে পাঠদানের কোন সুযোগ নেই। প্রত্যেক বিদ্যালয় প্রধানকে পাঠদান না করানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড