এস এম জুবাইদ, পেকুয়া (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের শুদ্বাখালী পাড়ার আব্দুস শুক্কর (বল্লার) ছেলে কফিল উদ্দীন (২২)। ২৬ আগস্ট বিকালে বনৌজা শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটিতে শ্রমিক হিসাবে মাটির কাজ করার সময় স্কেভেটরে আঘাত প্রাপ্ত হন। প্রথমে নৌঘাঁটির মেডিকেল রুমে চিকিৎসা দেয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চমেক হাসপাতালে রেফার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাঁর চাচা মনছুর আলম (৩৮) বাদী হয়ে প্রথমে পেকুয়া থানায় এজাহার দায়ের করেন। দুর্ঘটনার খবর পুলিশ জানতে পারলে ওই ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ায় সে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছয় জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দরখাস্তের আবেদন করে। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পেকুয়া থানাকে তদন্তের নির্দেশনা দেন।
এই ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠে। অনেকে বাদীর শাস্তি ও দাবিও করেন।
এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মগনামা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খাইরুল এনাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন "প্রকৃত পক্ষে আহত ব্যক্তি কফিল উদদীন মগনামা সাবমেরিন নৌ ঘাঁটিতে এস্কেবেটর গাড়ি দিয়ে মাটি কাটার কাজ করার সময় গাড়িতে দুর্ঘটনায় আহত হয়।এই দুর্ঘটনাকে মগ-নামার চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম তার প্রতিপক্ষের লোকজনকে ঘায়েল করার জন্য, উদ্দেশ্য প্রণোদিত-ভাবে মামলা করেছেন"।
পে-কুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মমতা-জুল ইসলাম বলেন,"একটা দুর্ঘটনাকে হামলার রূপ দিয়ে যে মামলা করেছে এটা খুবই দুঃখ জনক। যাদেরকে আসামী করা হয়েছে, তাঁরা সবাই মুহুরি পাড়া গ্রামবাসী ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের অনুসারীদের মধ্যে যে ঘটনা হয়েছে ওই মামলার আসামি। মুজাম্মেল একজন আনসার বাহিনীর সদস্য। সে এলাকায় ছিল না তাকেও আসামী করা হয়ে, এর আগে তাঁর পুরা মামলা দিয়ে পলাতক করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত চলছে, এখন কিছু বলা যাচ্ছে না তদন্ত শেষে ফাইনালি বলা যাবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড