• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে কালুরঘাট সেতু

  শাহেদ, বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম)

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৫১
চট্টগ্রাম
কালুরঘাট সেতু (ছবি : দৈনিক অধিকার)

১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্মা ফ্রন্টের সেনা পরিচালনার জন্য চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট এলাকায় একটি আপদকালীন সেতু তৈরির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ১৯৩০ সালে ‘ব্রুনিক অ্যন্ড কোম্পানির ব্রিজ কোম্পানি ব্রিজ বিল্ডার্স-হাওড়া নামে একটি প্রতিষ্ঠান এ সেতু তৈরি করে। জরুরি ভিত্তিতে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে নির্মিত ৭০০ গজ লম্বা সেতুটিতে ছয়টি ব্রিক পিলার, ১২টি স্টিল পিলার, দুটি অ্যবটমেন্ট ও ১৯টি স্প্যান রয়েছে।

সেতুটি উদ্বোধন করা হয় ১৯৩০ সালের ৪ জুন। পরে ২য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে পুনরায় বার্মা ফ্রন্টের যুদ্ধ মোটরযান চলাচলের জন্য ডেক বসানো হয়। দেশ বিভাগের পর ডেক তুলে ফেলা হয়। এই একমুখী যুদ্ধ সেতুটিতে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ১৯৫৮ সালে। বোয়ালখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের লাখ লাখ মানুষের অন্যতম ভরসা এই একমুখী রেল সেতুটি। প্রতিদিন সেতু দিয়ে যান চলাচল, পায়ে হেঁটে পারাপার এবং রেল চলাচল করে থাকে। একমুখী চলাচলের কারণে দুই পাশে যানজট হওয়ার পাশাপাশি সেতুর ওপর চাপও বেড়েছে। যার একদিক থেকে গাড়ি উঠলে অন্যদিক থেকে আর গাড়ি আসতে পারে না।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সরজমিনে কালুরঘাট সেতু পরিদর্শনে করে দেখা যায়, চট্রগ্রামের কালুরঘাট সেতুর রিলিং ভেঙ্গে পড়ে আছে অনেকদিন ধরে, ভেঙ্গে গেছে ৭০টি বেষ্টনীর অধিকাংশ কাঠ। যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনসাধারণ ও গাড়ি চালকেরা।

স্থানীয় জনসাধারণ ও গাড়ি চালকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এই সেতু দিয়ে চলাচল করছি। বর্তমানে কালুরঘাট সেতুর দুই পাশেই সেতুর রেলিং ও বেষ্টনীর অধিকাংশ কাঠ গুলো ভেঙে সেতু থেকে সরে গেছে। সব সময় আমরা খুবই আতঙ্কিত অবস্থায় সেতু দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। যে কোনো মূহুর্তে গাড়িসহ যাত্রী নিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারি। তারা আরও বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিয়মিত সেতুর ভাড়া নিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু কোনো রকম সেতুর সমস্যা হলে এবং দীর্ঘদিন পর্যন্ত সেতু ভাঙচুর অবস্থায় পড়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষ সঠিক সময়ে এগিয়ে আসে না। এবং কোনো রকম সাড়াও পাওয়া যায় না। এটা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বড় ধরনের গাফিলতি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিয়মিত ট্যাক্স নিলেও নিয়মিত সেতুর খোঁজ খবর রাখেন না বলেও জানান স্থানীয় জনসাধারণ ও গাড়ি চালকেরা। চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কালুরঘাট সেতুটি মেরামত করা হবে। আমি চট্টগ্রাম রেলওয়ে (পূর্ব অঞ্চল) মহাব্যবস্থাপকে বলেছি সেতুটি মেরামত করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, সেতুতে কাজ করার সময় মানুষের ভোগান্তি না হওয়ার জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ফেরীর ব্যবস্থা থাকবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ব) মো. সুবক্তগীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ। এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতে পারছি না। আপনি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করুন।

আরও পড়ুন : শৈলকুপায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

এরপর চট্টগ্রাম রেলওয়ে (পূর্ব অঞ্চল) মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি প্রধান প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং বলেছি কালুরঘাট সেতুর অবস্থা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।

ওডি/এফই

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড