শাহ্ সৈকত মুন্না, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ওয়ার্শী ইউনিয়নের বন্দ্যে কাওয়াল জানী গ্রামের বন্দ্যে কাওয়াল জানী খাদেম আলী উচ্চ বিদ্যালয় নৌকা দিয়ে পারাপার করছে শিক্ষার্থীরা। পাকা সড়ক থেকে স্কুলটি প্রায় ৪০০ ফুট দূরে অবস্থিত। বর্ষার পানিতে স্কুলের মাঠসহ কাচা রাস্তাটিও পানিতে তলিয়ে গেলে স্কুলে যাওয়ার একমাত্র পারাপারের বাহন এখন নৌকা।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সরজমিনে স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঠিক থাকলেও স্কুলটির চারপাশে বন্যার পানি। শিক্ষার্থীদের মাঝে পানি বাহিত রোগ ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা করছে শিক্ষক ও অভিভাবকরা। স্কুলের চারপাশে বন্যার পানি থাকায় সাপের উপদ্রব পরিলক্ষিত হয়েছে কিছু অভিভাবকদের কাছে।
সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সামিয়া আফরোজ নিলীমা সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলে দেওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। বন্ধুদের সাথে দেখা হচ্ছে। আমরা অনেক খুশি। তবে আমাদের স্কুলের খেলার মাঠটি বন্যার পানিতে ডুয়ে যাওয়ায় আমরা ছুটাছুটি করতে পারছি না। তাই পুরোপরি আনন্দ করতে পারছি না। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এই বিদ্যালয়ের পাশেই টাঙ্গাইল-৭, মির্জাপুর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. একাব্বর হোসেন একটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র বরাদ্দ দিয়েছেন যার কাজ প্রায় শেষ। তবে একটি পাকা রাস্তা না থাকার কারণে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের কাজ ব্যহত হচ্ছে এবং যেহেতু সরকার স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছেন তাই বর্তামানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। মাননীয় এমপি মহোদয় ও সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে অচিরেই আমাদের শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসার জন্য একটি পাকা রাস্তা ও স্কুলের সামনের মাঠটি ভরাটের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত মৌসুমে উপজেলা পরিষদ থেকে স্কুলে আসার একমাত্র রাস্তাটি উঁচু করার জন্য বরাদ্দ দেন। বরাদ্দকৃত টাকায় মাটির কাজ করা হলেও পর্যাপ্ত বরাদ্দ না পাওয়ায় রাস্তাটি বন্যার পানি থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই এই বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি আরার পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ড. মো. আব্দুল্লাহ হেল কাফি (অধ্যাপক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জা.বি) তার নিজ খরচে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের পারাপারের জন্য ২টি নৌকা ব্যবস্থা করেছেন।
আরও পড়ুন : শিক্ষার্থীদের বরণের মধ্য দিয়ে শ্রেণি পাঠদান শুরু
মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শামীমা আক্তার শিফা বলেন, স্কুলটিকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না দিতে পারায় স্কুলের রাস্তাটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। আমার স্বামী ওয়ার্শী ইউনিয়নের সাবেক প্রয়াত চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হেল শাফী স্কুলের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছেন। আমিও আমার উপজেলা পরিষদ থেকে স্কুলটির উন্নয়নের জন্য কাজ করব।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড