ওবায়দুল কবির সম্রাট, কয়রা, খুলনা
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সংস্কার হয়নি খুলনার কয়রা উপজেলা সদরের ওপর দিয়ে যাতায়াতের মূল সড়ক। বিশেষ করে কয়রা সদরের প্রাণকেন্দ্র তিন রাস্তার মোড় থেকে পুরাতন বাজার হয়ে কপোতাক্ষ কলেজ অভিমুখী রাস্তায় যেন খানাখন্দের অভাব নেই। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচলে নাভিশ্বাস উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলার জলোচ্ছ্বাসে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে একটানা তিন বছর জোয়ার আর ভাটা ওঠানামা করায় কয়রা সদরের রাস্তাটি ভেঙেচুরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে থেকে এখন পর্যন্ত সওজ কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি ঠিকমতো মেরামত করেনি। ফলে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন মোটরসাইকেল, ভ্যান, ইজিবাইকে করে চলাচল করা শতশত মানুষ আছড়ে-বিছরে ঝাঁকুনি সহ্য করেই যাতায়াত করছে। এ দিকে, কয়রা সদরের পুরাতন বাজারে রাস্তার পূর্ব দিকে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেন খুঁড়ে ফেলে রাখায় রাস্তাটি আরও সংকীর্ণ হয়ে চলাচলে চরম বিঘ্নের সৃষ্টি করেছে।
অবশ্য সওজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই বছর আগে কয়রা-নওয়াবেঁকি সড়কের ৭ কিলোমিটার সড়কের কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে শুরু করে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু গত বছরের ২০ মে আম্ফান ঝড়ের জলোচ্ছ্বাসে কাশিরহাট, ২ নম্বর কয়রা ও ঘাটাখালির বেড়িবাঁধ ভেঙে রাস্তার ওপর দিয়ে জোয়ার আর ভাটা ওঠানামা করায় রাস্তার ওপরে এবং ২ নম্বর কয়রা, কাছারিবাড়ি, হাজত খালিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পুকুর ও খালের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করতে না পেরে চলে যেতে বাধ্য হয়।
উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক যুগেরও অধিক সময় ধরে কয়রা সদরের ওপর দিয়ে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই। অথচ সওজ কর্তৃপক্ষ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি মেরামতে একেবারে উদাসীন।
এ ব্যাপারে সওজ এর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ দৈনিক অধিকারকে বলেন, এখানে বারবার পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙে রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পাউবোর বেড়িবাঁধের সাথে সমতা রেখে সড়কটির উচ্চতা বৃদ্ধি করা হবে, ফলে সড়কটির ডিজাইন চেঞ্জ করা হয়েছে। তবে সড়কটির নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন : সন্ধ্যা নামলেই ভয়ংকর হয়ে ওঠে নওগাঁর ‘বান্ধা সাঁকো’
বিষয়টিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরপরই জনগণের দুর্দশা লাঘবে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়া জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির প্রশস্তকরণ ও উচ্চতা বৃদ্ধিকরণে সাড়ে ২৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস করি। সে অনুযায়ী কাজও শুরু হয়। কিন্তু মাঝখানে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও ইয়াশের তাণ্ডবে বেড়িবাঁধ ভেঙে নির্মাণাধীন সড়কটির অধিকাংশ স্থান পুনরায় বিলীন হয়ে যায়। তবে আমরা পুনরায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি নতুন ডিজাইনের মাধ্যমে চলতি বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড