রুম্মান হাওলাদার, পিরোজপুর
পিরোজপুর সদর, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, ইন্দুরকানী এ চার উপজেলার অর্ধশত গ্রাম নিম্নচাপ ও জোয়ারের পাানিতে প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানির চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়ায় এসব উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষি জমিসহ তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাটসহ বাড়ির আঙিনা। লবণাক্ত পানি ও কচুরিপানা ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি। এ চার উপজেলার বেশ কিছু এলাকার বেড়িবাঁধ সিডরের সময় ভেঙে যাওয়ায় এখনও তা মেরামত করা হয়নি। ফলে সামান্য জোয়ারের পানিতে এসব এলাকার শত শত হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বেড়িবাঁধের অভাবে মঠবাড়িয়ার সাপলেজার ইউনিয়ন, পিরোজপুর সদরের শারিকতলা ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, অধিকাংশ জায়গায় বেড়িবাঁধ নেই। বেড়িবাঁধ না থাকায় পানির চাপে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বসতবাড়ি, রান্নাঘর পানিতে ডুবে গেছে। ফলে না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, পিরোজপুরের সাত উপজেলায় ২৯২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। সমুদ্রের নিম্নচাপ ও অতি জোয়ারের পাানিতে পিরোজপুরের নদ-নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট বেড়েছে।
আরও পড়ুন : প্রাণ ফিরে পাচ্ছে শৈলকুপায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো
পিরোজপুর সদর উপজেলার শারিকতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমীর হোসেন জানান, কচা নদীর তীরে পিরোজপুর সদর উপজেলার ৬ নম্বর শারিকতলা ডুমরিতলা ইউনিয়ন পরিষদ। ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ৬ কিলোমিটার নেই। এ কারণে একটু পানি বাড়লেই মানুষের ঘরে পানি উঠে। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কবে নাগাদ বাঁধ নির্মাণ হবে জানা যায়নি।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড