• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা

  মাহফুজ আলম প্রিন্স

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:২৮
রংপুর
বাঁশের সাঁকো (ছবি : দৈনিক অধিকার)

পাঁকা ব্রিজটির পশ্চিম অংশ ২০১৭ সালে বন্যায় দেবে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। তখন ব্রিজের দুইপাশের সংযোগ সড়কও ভেঙে যায়। এখন চার বছর ধরে ছয়টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ভাঙা ব্রিজের ওপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে।

ভাঙা ব্রিজের ওপর এই বাঁশের সাঁকোর অবস্থান রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় ৬ নম্বর টেপামধুপুর ইউনিয়নের আজমখাঁ গ্রামে। ওই গ্রামে তিস্তার শাখা মানাস নদী পাড়ি দিতে হতো নৌকায়। অনেক দাবি দাওয়ার পর মিলেছিল পাকা ব্রিজটি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এডিপি প্রকল্পের অর্থায়নে প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে টেপামধুপুর ইউনিয়নের আজমখাঁ গ্রামে মানাস নদীর ওপরে ১৮ ফুটের দীর্ঘ আরসিসি বক্স কালভাট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে বন্যায় ব্রিজটির পশ্চিম অংশ পানিতে ধসে পড়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাকা ব্রিজটির পশ্চিম অংশ পুরোটা দেবে গিয়ে নদীতে তলিয়ে আছে। ব্রিজটির দুইপাশেই সংযোগ সড়কও ভেঙ্গে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজটির ওপরে এবং ভাঙ্গা সড়কে কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে ব্রীজের দু’পাড়ের আজমখাঁ, বিদ্যানন্দ, দৌলতখাঁ, রামসিংহ, ভায়ারহাটসহ প্রায় ৬টি গ্রামের মানুষরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে।

আজমখাঁ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ মাষ্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী, আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন, শিক্ষক হাবিবুর রহমান, ব্যবসায়ী হযরত আলী, ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম, বাবলু মিয়া, কৃষক শহর আলী, নুর ইসলাম মন্ডল ও সুজন মিয়াসহ অনেকেই বলেন, পাকা ব্রিজ নির্মাণের আগে আমরা প্রথমে নৌকায় পারাপার হতাম। পরে পারাপারে সংখ্যা বেড়ে গেলে ওই স্থানে বাঁশের সাঁকো তৈরি করি আমরা স্থানীরা।

তারা আরও বলেন, আমাদের এই রাস্তাটি ছাড়া শহর ও হাট-বাজারে যাতায়াতের বিকল্প কোন রাস্তা নেই। ভাঙা ব্রিজটির কারণে বিশেষ করে রোগীদের ঘাড়ে করে কাঠের সাঁকো দিয়ে ভাঙা ব্রিজ পার করার পর গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। ঝুঁকিপুর্ন সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার হতে পিছলে গিয়ে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ওভ্যানচালকদের নদীর পানিতে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

তারা বলেন, গ্রামের ছেলেমেয়েরা কাউনিয়ায় স্কুল-লেজ ও মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে। গ্রামে বসবাসকারী মানুষদের হাট-বাজার বা জেলা শহরে যেতে হলেও ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা ব্রিজ পার হয়ে যেতে হয়।

৬ নম্বর টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, আজমখাঁ গ্রামে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক সংস্কার নিয়ে কয়েকবার উপজেলা পরিষদের মাসিক উন্নয়ন সভায় তুলে ছিলাম।

তিনি আরও বলেন, প্রকৌশলীর সঙ্গে কথাও হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুত ওখানে একটা সেতু হবে। তখন ওই গ্রামগুলোর মানুষের আর দূর্ভোগ হবে না।

আরও পড়ুন : যশোরে ট্রাক উল্টে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

প্রকৌশলী (এলজিইডি) আসাদুজ্জামান জেমি জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। কয়েক সপ্তাহ পূর্বে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজটি পরিদর্শণ করে প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলে টেন্ডারের মাধ্যমে ব্রিজটির নির্মাণ কাজের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

ওডি/এফই

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড