মনিরুজ্জামান, নরসিংদী
নরসিংদীতে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে নেমে হাসান মিয়া (৩২) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক ও মোবারক (১৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চরমান্দারিয়া গ্রামের লালু মিয়ার বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসান মিয়া মনতলা গ্রামের হাসিম উদ্দিনের ছেলে এবং মোবারক চরমান্দালিয়া গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে। এ সময় তাদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে সজিব (২০) নামে আরো এক যুবক গুরুতর আহত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরমান্দালিয়া গ্রামের বাসিন্দা লালু মিয়ার বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করছিলেন। শুক্রবার দুপুরে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ঢুকে ঢালাই করা ছাদের সেন্টারিং খুলতে যান নির্মাণ শ্রমিক হাসান মিয়া। এরপর কয়েক মিনিট হয়ে গেলেও তার কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না।
এ সময় উপস্থিত থাকা প্রতিবেশী মোবারক ট্যাংকের ভেতরে নামেন। দীর্ঘক্ষণ তারও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ওই বাড়ির মালিক লালু মিয়ার স্ত্রী প্রতিবেশী সজিব মিয়াকে ডেকে এনে ট্যাংকের ভেতরে নামতে বলেন। কিছুক্ষণ পর তারও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজন চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে ট্যাংক ভেঙে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন।
হাসান এবং মোবারককে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সজিবকে কিশোরগঞ্জের ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা বন্ধ ছিল। ফলে সেখানে এক ধরণের বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিষাক্ত গ্যাস আর অক্সিজেন-সংকটের কারণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন : ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশি তরুণীদের বেনাপোলে হস্তান্তর
তবে এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ওডি/এফই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড