মো. আরফাত হোসাইন, রাউজান (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের রাউজানের শাহানা আকতার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে পাহাড়ে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার মনাইর টেকনামক এলাকার পাহাড় থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত শাহানা আকতার রাউজান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছত্রপাড়া গ্রামের মান্নান উল্লাহ সিকদার বাড়ির হাছি মিয়া সিকদারের মেয়ে ও রাউজান সদর ইউনিয়নের নাতোয়ান বাগিছা এলাকার শমসেন নগরের গুচ্ছ গ্রামের মো. সাঈদুল আলমের স্ত্রী।
কাউখালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মহিউল ইসলাম বলেন, নিহত শাহানা আকতারের কাছ থেকে তার শ্বশুর বাড়ির প্রতিবেশী সুজন বড়ুয়া ৩০ হাজার টাকা ধার নেয়। এই লেনদেনের কারণে সুজন বড়ুয়ার সাথে শাহানার বিরোধ চলে আসছিল। শাহানা আকতারকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধারের সময় সুজন বড়ুয়া তাকে পাহাড়ে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছিল শাহানা। নিহত শাহানা আকতারের গলায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। কিল-ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়ে এসব আঘাত করা হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
নিহত শাহানার পরিবারের দাবি, রবিবার রাতে সে তার শ্বশুরবাড়ি ছিল, কোন এক সময় তাকে পাহাড়ে নিয়ে গেছে সুজন। পাহাড়ে শাহানা আকতারকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পায় দুই আদিবাসী ছেলে। এসময় তারা শাহানার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তাদের কাছে সুজন বড়ুয়া তাকে পাহাড়ে নিয়ে গেছে উল্লেখ করে বাপের বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ির ঠিকানা দেন শাহানা। পরে তারা পুলিশ ও স্বজনদের খবর দিলে পুলিশ ও স্বজনরা উপস্থিত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই শাহানার মৃত্যু হয়।
কাউখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ উল্লাহ বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী মো.সাঈদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এদিকে সজন বড়ুয়া পুলিশের নজরদারিতে আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ পরিদর্শক মহিবুল ইসলাম।
অন্যদিকে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড