সৈকত মুন্না, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে খুন হওয়া টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল কর্মকর্তা খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলুর শিশু কন্যার দায়িত্ব বিষয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, হাসপাতালের ভিতরে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার আসামি ঘাতক স্বামী মো. দেলোয়ার রহমান মিজান সাত দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি।
শুক্রবার (০২ এপ্রিল) কুমুদিনী হাসপাতাল সূত্র জানায়, ইলুর শিশু কন্যা হাসপাতালের শিশু বিভাগের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে লালন পালন হচ্ছে। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিশুটির দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি জানিয়েছেন, শিশুটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য একজন বৈধ অভিভাবকরে কাছে আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা হবে।
কালচারাল কর্মকর্তা ইলুর ভাই খন্দকার আসাদুল আবিদ ও তার বোন খন্দকার রেদওয়ানা কলি সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের পর থেকেই তার বোনের উপর অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন করে আসছিল মিজান ও তার পরিবার। নিজের পরিবার ও সংসারের দিকে চেয়ে আমার বোন সব অন্যায় অত্যাচার সহ্য করে গেছেন। স্বামী মিজান সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি টাঙ্গাইল থেকে সম্প্রতি ভোলা জেলায় বদলী হয়ে যান।
গত ২২ মার্চ প্রসব ব্যথা নিয়ে খন্দকার রিদোয়ানা ইসলাম ইলু হাসপাতালে ভর্তি হন। ঐ দিনই কন্যা শিশুর জন্ম হয়। ছুটি হলেও শিশুকন্যা অসুস্থ থাকায় কেবিন ভাড়া নিয়ে ইলু থেকে যান। গত ২৭ মার্চ মিজান কুমুদিনী হাসপাতালে আসে স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে দেখতে। তার স্বামীকে ওয়ার্ডে রেখে ইলুর মামি খোদেজা বেগম শিশু কন্যাকে দুধ খাওয়ানের জন্য তিন তলায় যান। ফিরে এসে দেখেন রুমের দরজা তালা। ঘটনাটি কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদের জানালে তারা চাবি এনে দরজা খোলে দেখেন বালিশ চাপা দিয়ে ইলুকে হত্যার পর ঘাতক স্বামী মিজান পলাতক। তারা অভিযোগ করেছেন তার বোনকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর মামলা হলেও পুলিশ আজ পর্যন্ত ঘাতককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘাতক দেলোয়ার রহমান মিজানকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
শিশুর মাকে হাসপাতালের কেবিনে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা এবং বাবা খুনের দায়ে পলাতক থাকায় শিশুটি এখন কুমুদিনী হাসপাতালে রয়েছে। শিশুটি শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকগন পরম মমতা দিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন : প্রতিবন্ধী সন্তানদের নিয়ে আহমদের ...
এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) দীপংকর ঘোষ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাজাহান মিয়া বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। অপরাধীকে গ্রেপ্তারের জন্য তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভাগের কয়েকটি টিম সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
ওডি/এএইচ
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড