নিজস্ব প্রতিবেদক
চাঁদপুর শহরের নাজির পাড়ার জাওড়া রোডে চলাচলের সড়ক ব্যবহারে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। চলাচলকারীদের কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এমন অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার জি এম শাহাবুদ্দিন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
এমন অবস্থায় বসবাসকারী মো. তাজুল ইসলাম মজুমদার, কামরুল হাসান, মামুনুর রশীদ খান, শিহাবুদ্দীন সেলিম, জাকির হোসেন রিটন, ভোলানাথ দে এবং মো. ইমরান হোসেন শিকদার পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।
এবিষয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে জানানোর পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে আদলতে শরণাপন্ন হয়েছেন।
দৈনিক অধিকার পত্রিকার চাঁদপুর প্রতিনিধি ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক শিহাবুদ্দীন সেলিম জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় প্রতিদিনকার মত তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে বেরহন।
তিনি শাহাবুদ্দীনর বাসা অতিক্রম কালে শাহাবুদ্দীনের ছোট বোন নাজমা ইয়াসমিন ধারাল বটি হাতে কুপিয়ে মারতে তেড়ে আসে। এসময় তিনি আর্ত চিৎকার করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে উদ্যত হন। আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে সে হাতের বটি জঙ্গলে ফেলে দেয় অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে।
পরে শিহাবুদ্দীন সেলিম এ ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ভাবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার উপ পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন ও পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েলকে অবহিত করেন।
খোঁজে নিয়ে জানা যায়, জায়গা বিক্রেতা হামীম পাটোয়ারী সড়ক প্রশস্ত করার জন্য ২০১১ সালে জি.এম.শাহাবুদ্দীন থেকে এক শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন। এর পরের বছর জায়গা বিক্রি করেন নাই বলে জি.এম. শাহাবুদ্দীন মিথ্যা অভিযোগ করেন হামীম পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে। মামলার পরে পৌরসভার সাবেক মেয়র নাছির উদ্দিন আহম্মদ ও বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান পাটোয়ারীসহ শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে জি.এম. শাহাবুদ্দীন এবং হামীম পাটোয়ারীর বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেন।
পরে শাহাবুদ্দীন ২০১২ সালে তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে হামীম পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে করা সকল মামলা ও অভিযোগ তুলে নেবেন বলে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করেন। শাহাবুদ্দীন ২০১২ সালে হামীম পাটোয়ারীর নামে করা মামলা না তুলে ২০১৯ সালে স্থানীয় সাতজন প্লট মালিককে সম্পৃক্ত করে মামলা পরিচালনা করেন।
এ ঘটনার পর প্লট মালিকরা তাদের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২০২০সালের ১৫ জুন চাঁদপুর মডেল থানায় জিডি করেন। একই বছর ১৪ নভেম্বর আরও একটি জিডি করার মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসনকে এবং একই তারিখে চাঁদপুর পৌর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। কিন্তু তাতেও মেলেনি কোন সন্তোষ জনক ফল।
এ বিষয়ে জি এম শাহাবুদ্দিনের বক্তব্য জানতে তার বাসায় একাধিকবার গিয়েও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : অবমুক্ত জুলিয়েটের বন্ধুত্বে নিশ্চিন্ত কর্মকর্তারা
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপ পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখানে দুটি ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন। চলমান ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া যাবে। তিনি আরও জানান নোটিস প্রদান পরবর্তী সময়ে কোন পক্ষ আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কোট প্রচলিত বিধি মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ভুক্তভোগীরা সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড