শরীয়তপুরে পাঁচ চোর গ্রেপ্তার
মো. জাবেদ শেখ, শরীয়তপুর
শরীয়তপুরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ চক্র অভিনব কায়দায় ৫ মিনিটেই মোটরসাইকেল চুরি করে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে মোট পাঁচ চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও ক্রাইম) মো. সাইফুর রহমান পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে তিনটি মোটরসাইকেল ও ৬৯ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এ চক্রের সাতজনের বিরুদ্ধে সখিপুর থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা মাস্টার কি ব্যবহার করে পাঁচ মিনিটের মধ্যে একটি মোটরসাইকেল চালু করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত ৭ জানুয়ারি রাত দেড়টার দিকে শরীয়তপুরের সখিপুর থানার ডিএমখালী ইউনিয়নের মুসলমানকান্দি ব্রিজের সামনে চেক পোস্ট বসায় পুলিশ। তখন মো. পারভেজ আহম্মেদ ও রিয়াদ একটি লাল রংয়ের টিভিএস মেট্রো প্লাস ১১০ সিসি মোটরসাইকেল নিয়ে মাদারীপুর থেকে কুমিল্লার দিকে যাচ্ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মোটরসাইকেল চুরি কথা স্বীকার করে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর মাদারীপুর সদর থেকে লালন ও শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানা এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সখিপুর থেকে সোহেল ঢালী ও রাসেল দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া হেলালকে চুরির অপরাধে সখিপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মঈনুদ্দিন সরদারকান্দি গ্রামের মোতালেব ঢালীর ছেলে সোহেল ঢালী (২৫), গোসাইরহাট উপজেলার দক্ষিণ কোদালপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে রাসেল দেওয়ান (২৭), মো. পারভেজ আহম্মেদ (২১), রিয়াদ (১৯), লালন সরদার (৩৮), হানিফ মোল্লা (২২) ও হেলাল বকাউল (২১)।
সংবাদ সম্মেলনে ভেদরগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিনুর রহমান, সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিরাজ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
