বরিশাল প্রতিনিধি
শিক্ষার্থীদের উপর শ্রমিকদের হামলার ঘটনার ১০ ঘণ্টা পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শান্ত হলো। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
অবরোধের সময় বাসে আগুন, ভাংচুরসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে ৩ দফা দাবী উত্থাপন করে। তা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়। এতে সমঝোতা না হওয়ায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে।
যে কারণে এ রুটে দক্ষিণাঞ্চলের শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। চরম দুর্ভোগে পরেন যাত্রীরা। অবশেষে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দায়ী শ্রমিকদের বিচারসহ ৩ দফা দাবী পূরণের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা। ফলে বিকাল ৫টা থেকে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
জানা গেছে, বুধবার রাত ১টার দিকে মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিপনের নেতৃত্বে মানিক ও মামুন তার দলবল নিয়ে রুপাতলী হাউজিংয়ের আবাসিক এলাকার ১৯, ২২ ও ২৩ নং রোডে অবস্থিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেসের সামনে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে ধারালো চাপাতি, রামদা, রোড দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। তারা ভোররাতে শেবাচিম মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগে ভর্তি হয়েছে।
আরও পড়ুন : রাঙ্গুনিয়ায় বই মেলায় ২০টাকায় বই
এ খবর মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আতংক দেখা দেয়। শিক্ষার্থীদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ইট পাটকেল ছিটিয়ে অবরোধ করে রাখে। বুধবার সকাল ৭টা থেকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে বসে মিছিল করে। এতে শতশত যানবাহন মহাসড়কের দুই পাশে আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন।
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড