রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেষ করেছেন স্নাতক ডিগ্রী। চাকুরী খোঁজার ফাঁকে শখের বশে গড়ে তুলেছেন বাড়ির অদূরে আম-মালটা-পেঁপেসহ প্রায় অর্ধ হাজার ফলজ গাছের বাগান করেছেন রফিক। কিন্তু রাতের আঁধারে পূর্ব শত্রুতার জেরে তার সাজানো গোছানো বাগানটির সব গাছ ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন রফিকের বড় ভাই হারুন। রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো মাহবুব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি৷ তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মীর তৌহিদুল ইসলাম কাঞ্চন বলেন, আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। কে কার বাগান কেটে দিল আমি জানি না।
আরও পড়ুন- চন্দনাইশ পৌর নির্বাচনে ১১ ...
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের একটি বৈচিত্র্যময় গ্রাম এই পেকুয়ার ফুল। পাহাড় বেষ্টিত গ্রামের অধিকাংশ পাহাড়ে বিভিন্ন দেশীয় ফল ফলাদির গাছের বনায়ন । স্বশিক্ষিত রফিক ও তার ভাই হারুন শখ করে বাড়ির পতিত ৫ একর ৬৫শতক জায়গায় আম-মালটা-,পেঁপেসহ উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ফল ফলাদি গাছ রোপণ করে কয়েক বছর আগে। তাদের নিয়মিত পরিচর্যায় কিছু গাছে ফল ও ফুলও এসেছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকার কয়েকজন অধিকাংশ গাছ কেটে, ভেঙে নষ্ট করে ফেলে। হারুন ও রফিক বাঁধা দিলে তাদের মারধরের চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে থানায় দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন মো. হারুন।
কোর্ট থেকে তদন্তে এসে অ্যাডভোকেট পলটন দাশ জানান, কবরস্থানের জায়গার বিরোধ দীর্ঘদিনের। প্রথম যখন এসেছি এখানে রোপণকৃত ফলজবৃক্ষ দেখেছি৷ কোর্ট দ্বিতীয়বার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জায়গার নমুনা ও জরিপ করার জন্য৷ তদন্তে এসে বৃক্ষ ভেঙে ও কেটে ফেলার নমুনা দেখছি। তদন্ত প্রতিবেদনের আগে আর কিছু বলা যাবেনা।
অভিযোগকারী বলেন, ফলজ গাছের চারা রোপণ করেছি আমি স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য৷ বেকারত্ব ঘোচাতে। কিন্তু রাতের আঁধারে এভাবে নির্মমভাবে গাছ ভেঙে দিয়ে আমার সব স্বপ্নকে ভেঙে দিয়েছে। জায়গা জমির শত্রুতা নিয়ে ফলজ গাছের চারা কাঁটা আইনি বিরোধী। আমি এবং আমার পরিবার অভিযুক্তদের সন্তোষজনক বিচার চাই।
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড