গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে সরকারি এমপিওভুক্ত দুটি বিদ্যালয় হতে মাসের পর মাস বেতন তুলছেন শাহীন মিয়া নামের এক স্কুল শিক্ষক। দুই বিদ্যালয়ে অনুসন্ধানের পর বিষয়টি উঠে এলে দোষ স্বীকার করে অর্থ ফেরত দেয়ার কথাও জানান অভিযুক্ত শিক্ষক শাহীন মিয়া।
অভিযুক্ত শিক্ষক শাহিন মিয়া শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদা পাড়া (বারতোপা) গ্রামের আব্দুর রহমান ফকিরের ছেলে। সে একসঙ্গে উপজেলার গাজীপুরের শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৮ হাজার ১৭৭ টাকা এবং তেলিহাটির আলহাজ্ব মোসলেহউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৬ হাজার ৬২০ টাকা হারে মাসের পর মাস বেতন উত্তোলন করছেন।
জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দুই বছর যাবত। বেতন-ভাতা উত্তোলনও করছেন ঠিকমতো। একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী তেলিহাটির আলহাজ্ব মোসলেহ উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়েও আইসিটি শিক্ষক হিসেবে স্বশরীরে উপস্থিত না হয়েও মাসের পর মাস বেতন নিচ্ছেন। আর এজন্য হাজিরা খাতায় তৈরি করেছেন ভুয়া উপস্থিতিও।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবেই বেতন তুলছেন নিয়মিত। মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও এ জালিয়াতির প্রমাণ মেলে। যেখানে দুটি প্রতিষ্ঠানেই শাহীন মিয়ার নাম, জন্মতারিখ, ব্যাংক হিসাব নম্বর এমনকি পৃথক ইনডেক্স নম্বর নথিভুক্ত করা হয়েছে।
শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান জানান, ইদানীং তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে, এটা আমি শুনেছি। তবে তিনি আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতিদিনই ক্লাস নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহীন মিয়া নিজের ভুল স্বীকার করে বলেছেন, অনিয়ম করে উত্তোলন করা সব টাকা ফেরত দেবেন তিনি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা জানান, একজন শিক্ষক কখনই দুটি বিদ্যালয়ে একসঙ্গে চাকরি করতে পারবেন না। এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড