দিনাজপুর প্রতিনিধি
সময় তখন রাত সাড়ে ১০টা। বিয়ের আয়োজন প্রায় শেষের দিকে। হঠাৎ দাওয়াত ছাড়াই সেখানে এসে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। উদ্দেশ্য বাল্য বিয়ে বন্ধ করা। অবশেষে মেয়ের বাবা মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেলেও ভ্রাম্যমাণ আদালতে বরকে গুণতে হয়েছে ১০ হাজার টাকা জরিমানা।
ঘটনাটি দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ১ নং মুকুন্দপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের। বরবেশে শান্তিনগর এলাকার দবির উদ্দিনের ছেলে আলফাজ হোসেন মুরাদ। মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণিপড়ুয়া ছাত্রী।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন,‘স্থানীয় মল্লিকপুর গ্রামে বাল্য বিয়ের আয়োজন হচ্ছে এমন খবরে আসার পর সেখানে লোক পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে বললেও তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ জানতে পেরে তারা ঘটনাস্থলে এসে বিয়ে বন্ধ করে দেয়।’
আরও পড়ুন : গোয়েন্দাদের নজরদারিতে ১৬ অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, ‘বাল্য বিয়ের খবরে পুলিশ নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে মেয়ের বিয়ের বয়সের কাগজ যাচাই করে সেটি বল্য বিয়ের আওতায় পড়ায় মেয়ের বাবাকে বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।'
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড